ব্যবসা ও অর্থনীতিডেস্ক(১০ জানুয়ারী):বাংলাদেশ ব্যংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন কেন্দ্রীয় ব্যাংককে শক্ত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, গভর্নরকে দাঁত বের করতে হবে।
গভর্নর থাকাকালে নিজের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে ফরাসউদ্দিন বলেন, তিনি ৫৭ জন ব্যাংক পরিচালককে অপসারণ করেছিলেন, যাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একই বিমানে সফরসঙ্গী ছিলেন।
১০ দিনব্যাপী ব্যাংক খাতে জালিয়াতি উদ্ঘাটনসংক্রান্ত এক প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে গতকাল বুধবার সাবেক এই গভর্নর এসব কথা বলেন বলে সূত্র জানায়। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন বর্তমান গভর্নর আতিউর রহমান। সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) সহায়তায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ন্যাশনাল ফ্রড রিস্ক ডিটেকশন অ্যান্ড মিটিগেশন অ্যাডভাইজার মোহাম্মদ হোসেন পুরো প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের মোট ২৬ জন কর্মকর্তা এ প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশ নেন।
সূত্র জানায়, অনুষ্ঠানে ফরাসউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান। এর দায়িত্ব কেবল মুদ্রানীতি তৈরি করা নয়। অর্থনীতিকে নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের। তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শকদের কোনো পরিদর্শনকাজে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানাতে বলেন। আবার পরের দিনই প্রতিবেদন তৈরি করে তথ্যটি দেওয়ার পরামর্শ দেন। আরও বলেন, যে ব্যাংকের এমন তথ্য পাওয়া গেল, সেই ব্যাংক যেহেতু জানছে পরিদর্শক তথ্যটি পেয়েছে, তাই অপেক্ষা করলে নানাভাবে পরিদর্শককে পক্ষে নেওয়ার চেষ্টা হয়।
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, কিছু ক্ষেত্রে পরিদর্শকদের সততা নিয়ে প্রশ্ন আসছে। তিনি প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্য যাচাইয়ে ‘কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স’ নিয়োগের বিষয় কিংবা বিশেষ ধরনের তথ্য প্রদানকারী তৈরির চেষ্টা করার পরামর্শ দেন।
সোনালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ হোসেন অনুষ্ঠানে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশনা দেওয়ার পরও মাত্র ১৪টি ব্যাংক সুইফটের মাধ্যমে ঋণপত্র (এলসি) করছে। বাকি ব্যাংকগুলো এখনো মেইল বার্তার মাধ্যমে এলসি করছে।
অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আহসান উল্লাহ বক্তব্য দেন।
নিউজরুম