বিনোদন ডেস্ক(১০ জানুয়ারী):২০১১ সালের জুলাইয়ে ব্রিটিশ গায়িকা এমি ওয়াইনহাউসের রহস্যজনক মৃত্যুর পর তদন্ত প্রতিবেদনে তাঁর মৃত্যুর কারণ হিসেবে অ্যালকোহল বিষক্রিয়ার কথা বলা হয়েছিল।কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় তিনি পদত্যাগ করেছিলেন।এর পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয় দফায় তদন্তের আদেশ দিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের একটি আদালত। সম্প্রতি সেই তদন্ত শেষ হয়েছে। আদালত নিশ্চিত করেছেন, মাত্রাতিরিক্ত অ্যালকোহল পানের কারণেই মৃত্যু হয়েছিল এমির। জানিয়েছে সিবিএস নিউজ।
লন্ডনের সাউথগেট এলাকায় ১৯৮৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেছিলেন এমি। ২০০৩ সালে মুক্তি পাওয়া তাঁর ‘ফ্রাঙ্ক’ অ্যালবামটি ইউরোপজুড়ে ঝড় তুলেছিল। তিন বছর বাদে ২০০৬ সালে ‘ব্যাক টু ব্ল্যাক’ অ্যালবামের অভাবনীয় সাফল্য তাঁকে তুমুল জনপ্রিয়তা এনে দেয় । মাত্র ২৭ বছরের জীবনে তিনি পেয়েছিলেন পাঁচ-পাঁচটি গ্র্যামি পুরস্কার। ব্রিটিশ গায়িকাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গ্র্যামি পুরস্কার ঝুলিতে ভরে রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। ‘ব্যাক টু ব্ল্যাক’, ‘রিহ্যাব’, ‘লাভ ইজ এ লুসিং গেম’সহ বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন ক্ষণজন্মা এই শিল্পী।
গানের পাশাপাশি এমি আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন তাঁর মাদকাসক্তি ও উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপনের জন্য। অতিরিক্ত মদ্যপান করে অসংযত কীর্তি-কলাপ, মাতাল অবস্থায় মঞ্চ পরিবেশনার মতো কাণ্ড ঘটিয়ে ২০০৭ সাল থেকে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে নিয়মিত খবরের বিষয় হয়ে উঠেছিলেন এমি। নিষিদ্ধ মাদকসহ ধরা পড়ায় জেলেও যেতে হয়েছে তাঁকে।
২০১১ সালের ২৩ জুলাই উত্তর লন্ডনের কেমডেনের বাড়িতে মাত্র ২৭ বছর বয়সে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় এমি ওয়াইনহাউসকে।ময়নাতদন্তে তাঁর রক্তে মাত্রাতিরিক্ত অ্যালকোহলের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল।
নিউজরুম