কৃষি ডেস্ক(৯ জানুয়ারী): চলনবিলের পাঁচ শতাধিক মৌচাষি বাণিজ্যিকভাবে মধু উৎপাদন ও সংগ্রহে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। ইতোমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তারা চলনবিলের বিভিন্ন স্থানে মৌমাছির বাক্সসহ অবস্থান নিয়েছেন। চলতি বছর এ এলাকা থেকে কমপক্ষে ২০ কোটি টাকার মধু সংগ্রহ হবে বলে আশা করছেন মৌচাষিরা।
জানা গেছে, চলনবিলের বড়াইগ্রাম, গুরুদাসপুর, সিংড়া, তাড়াশ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর, চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলায় গত ছয়-সাত বছর ধরে রবি মওসুমে সরিষাফুল থেকে কোটি কোটি টাকার মধু সংগ্রহ করা হচ্ছে।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ মওসুমে চলনবিলের ৯ উপজেলায় ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের সরষের চাষ হয়েছে। এরি মধ্যেই মধু সংগ্রহের জন্য মৌচাষিরা বিলের সুবিধাজনক স্থানে অস্থায়ী আবাস গড়েছেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এম মনজুর হোসেন জানান, যেসব সরষে জমি থেকে মৌমাছিরা মধু সংগ্রহ করে, সেসব জমির ফুলে সঠিকভাবে পরাগায়ন ঘটে। ফলে সে জমির সরষে ফলন ২৫-৩০ গুণ বেড়ে যায়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর নাটোরের উপপরিচালক রহমতুল্লাহ সরকার জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মওসুমে চলনবিলের সরষেফুল থেকে বাণিজ্যিকভাবে এবং বিভিন্ন গাছপালায় প্রাকৃতিকভাবে তৈরী মৌচাক থেকে প্রায় এক হাজার মেট্রিক টন মধু সংগৃহীত হবে যার বাজারমূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকা।
নিউজরুম