কৃষি ডেস্ক(৯ জানুয়ারী): গত শতকের ষাটের দশকে যুক্তরাষ্ট্রে গাঁজা সেবনকে বাজে কৃষ্টির অন্যতম লক্ষণহিসেবে দেখা হতো। এই অবস্থা এখন অনেকটাই পাল্টে গেছে। দেশটির কোনো কোনোস্থানে ওষুধ হিসেবে গাঁজা ব্যবহারের অনুমতির আড়ালে একে রীতিমতো ‘জায়েজ’ করেফেলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গাঁজাকে যতই ওষুধ হিসেবেব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হোক না কেন, নীরব ঘাতকের কাজ করার যথেষ্ট দক্ষতা এররয়েছে। এই অবস্থায় গাঁজা বৈধকরণের মতো পদক্ষেপে বাড়ছে স্বাস্থ্য নিয়েউদ্বেগ।
কলোরাডো ও ওয়াশিংটনে শর্তসাপেক্ষে বিনোদনমূলক ব্যবস্থা হিসেবেগাঁজা সেবন বৈধ করা হয়েছে এ মাসে। এক ডজনের বেশি অঙ্গরাজ্যে স্বল্প পরিমাণেগাঁজা বহন অপরাধের কাজ বলেও এখন আর বিবেচিত নয়। সর্বশেষ ম্যাসাচুসেটসকর্তৃপক্ষ ওষুধ হিসেবে এটি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। এ নিয়ে ১৮টিঅঙ্গরাজ্যে ওষুধ হিসেবে গাঁজা সেবন বৈধতা পেল।
যদিও দেশটির কেন্দ্রীয়আইনে এর বিক্রি ও ব্যবহার উভয়ই নিষিদ্ধ, তার পরও প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাবলেছেন, তাঁরা গাঁজা বৈধকরণ নিয়ে বিতর্ককে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তাছাড়া, যেসব অঙ্গরাজ্যে একে বৈধ করা হয়েছে, সেসব স্থানে এর সেবীদের আইনেরআওতায় আনবে না সরকার।
গাঁজা নিয়ে এই অবস্থানকে নিজেদের বিজয় হিসেবেইদেখছে এর সমর্থকেরা। তারা যুক্তি দেয়, গাঁজা হেরোইন ব্যবহারের চেয়ে অধিকতরনিরাপদ। আবার গাঁজার আসক্তির ক্ষমতার ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা মোটামুটি একমত যে১০ শতাংশের কম গাঁজাসেবী এই মাদকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। যেখানেঅ্যালকোহল পানকারীদের মধ্যে এই সংখ্যা ১৫ শতাংশ, হেরোইনসেবীদের মধ্যে ২৩শতাংশ ও ধূমপায়ীদের (তামাক সেবনকারী) মধ্যে ৩২ শতাংশ। এ ছাড়া, গাঁজার মধ্যেতামাকের মতোই ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদান, আলকাতরা ও অন্য বিষাক্তউপাদানের উপস্থিতি থাকলেও সিগারেটের মাধ্যমে এসব উপাদান যে পরিমাণে গ্রহণকরা হয়, গাঁজার মাধ্যমে তা করা হয় কম।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপকভাবে যেসব মাদক ব্যবহূত হচ্ছে, গাঁজা সেসবের শীর্ষেরয়েছে। এর স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে রয়েছে উদ্বেগও। এভাবে গাঁজা ব্যবহারে এমনখারাপ ফলাফল দেখা দিতে পারে, যা এখনো দৃশ্যমান নয়।
নিউজরুম