স্পোর্টস ডেস্ক(৮ জানুয়ারী): দিল্লির মান রক্ষার ম্যাচে ভারতের ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যেও ধোনির ব্যাটথেকে এসেছিল ৩৬ রান। কিন্তু ওই ৩৬ রান কি সত্যিই ভারতের জয়ের মূল অনুষঙ্গছিল? মামুলি সংগ্রহের বিপরীতে ভারতীয় বোলারদের বোলিং ও ফিল্ডারদের ফিল্ডিংকি ওই ম্যাচে কোনোই ব্যবধান তৈরি করেনি? হঠাত্ এই প্রসঙ্গ আসার কারণ, মহেন্দ্র সিং ধোনির ম্যাচসেরা হওয়া। ধোনির ম্যাচসেরা হওয়ার ব্যাপারটিইতিমধ্যে জন্ম দিয়েছে যথেষ্ট সমালোচনার। অনেকেই মনে করেন ধোনিকে ওই দিনেরম্যান অব দ্য ম্যাচ করাটা আসলে উচিত হয়নি।
দিল্লিতে আগে ব্যাটিং করেমাত্র ১৬৭ রান সংগ্রহ করলেও বোলার ও ফিল্ডারদের দুর্দান্ত পারফরমেন্সেপাকিস্তানকে ১৫৭ রানেই আটকে রাখতে সক্ষম হয় স্বাগতিকেরা। ব্যাট হাতেভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৬ রানের ইনিংসটি খেলেছিলেন অধিনায়ক ধোনি। এরপাশাপাশি ফিল্ডিংয়ের সময় ধোনির অর্জন ছিল দুটি স্টাম্পিং। কিন্তুপাকিস্তানি অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হকের একটি ক্যাচ ফেলেও দিয়েছিলেন ধোনি।উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচটিতে আরও অনেকেরই অবদান ছিল ভারতের এই জয়ের পেছনে।ভারতের পক্ষে ম্যাচসেরার প্রধান দাবিদার হিসেবে বলা যায় রবীন্দ্র জাদেজারনাম। ব্যাট হাতে তিনি খেলেছিলেন ২৭ রানের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ইনিংস। বলহাতেও তিনি দেখিয়েছেন দারুণ পারফরমেন্স। ১০ ওভার বল করে মাত্র ১৯ রানেরবিনিময়ে তিনি শিকার করেছিলেন উমর গুলের উইকেটটি। এমনকি ক্যারিয়ারসেরাবোলিং (২৪ রানে ৫ উইকেট) করে ম্যাচসেরা পুরস্কারের দাবিদার ছিলেনপাকিস্তানের অফস্পিনার সাঈদ আজমলও। তাহলে কেন ধোনির হাতেই উঠল ম্যাচসেরারএই পুরস্কার? খারাপ একটা সময় কাটাতে থাকা ধোনিকে উজ্জীবিত করতেই এইসিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’কে জানিয়েছেন ভারতের একসাবেক ক্রিকেটার। ধারাভাষ্যকারদের যে ভোটাভুটিতে ম্যাচসেরা নির্বাচন করাহয়, সেখানে ধোনির পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন এই সাবেক ক্রিকেটার। তবে এইসিদ্ধান্ত বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে অনেক ধারাভাষ্যকারের মনেই। ধোনিকে এই ‘সান্ত্বনা পুরস্কার’ দেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
পাকিস্তানেরবিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেও ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছিলমহেন্দ্র সিং ধোনির হাতে। চেন্নাইয়ের সেই ম্যাচে ১১৩ রানের চমত্কার একইনিংস খেলেছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক। কিন্তু পাকিস্তানের পক্ষে ১০১ রানের হারনা-মানা ইনিংস খেলে দলকে জয় এনে দিয়েছিলেন ওপেনার নাসির জামশেদ। ম্যাচজেতানো এই ইনিংসটি খেলার পরও কেন বিজয়ী দলের জামশেদকে এ পুরস্কারটা দেওয়াহয়নি, সেটা নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট দল অনানুষ্ঠানিকভাবে ধারাভাষ্যকারদেরকাছে অভিযোগ করেছিল বলে জানিয়েছে ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’।
নিউজরুম