রাবি: প্রতিবেদক, (০৭জানুয়ারী) : দেশের আলোচিত টাঙ্গাইলের মধুপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত প্রতিবাদ কর্মসূচীতে বাধা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। সোমবার বেলা সাড়ে ১০টায় ক্যাম্পাসে টাঙ্গাইল জেলার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে মানববন্ধন করতে গেলে তাতে বাধা দেয়া হয়।
তবে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বলছে আয়োজকদের অধিকাংশই জামায়াত-শিবির ও ছাত্রদল সমথর্ক হওয়ায় বাধা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি টাঙ্গাইল মধুপুর উপজেলার নবম শ্রেনীর স্কুলছাত্রী পাশবিক কায়দায় গণধষণের স্বীকার হয়। ভারতে কলেজ পড়ুয়া তরুণীকে বাসে গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে ভারতজুড়ে ব্যাপক আন্দোলনের পর দেশের টাঙ্গাইলের ওই স্কুলছাত্রীর গণধর্ষনের বিষয়টিও ব্যাপক আলোচিত হয়। ওই ঘটনার প্রতিবাদে এবং ধর্ষকদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত টাঙ্গাইল জেলা সমিতির উদেগ্যে সকাল সাড়ে ১০টায় মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। সিনেট ভবনের সামনে আয়োজিত ওই কর্মসূচীতে যোগ দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের টাঙ্গাইল জেলার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে চাইলে রাবি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল হক জাকিরের নের্তৃত্বে কয়েকজন নেতাকর্মী ওই মানববন্ধন কর্মসূচীতে বাধা দেয় এবং ব্যানার ছিনিয়ে নেয়। বাধার কারণে আগত প্রতিবাদকারীরা মানববন্ধন না করেই ফিরে যান।
ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে মানববন্ধনে আসা শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জানান, আলোচিত ওই পাশবিক ঘটনার প্রতিবাদে সারা দেশে সব শ্রেণীর মানুষ বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে ঘৃণা ও অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছে। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের মতো জায়গায় এধরণের প্রতিবাদ কর্মসূচীতে সরকার দলীয় ক্যাডারদের বাধা দেয়ার ঘটনা আমাদেরকে হতভম্ব করেছে।
তবে বাধা দেয়ার ঘটনা স্বীকার করে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল হক জাকির বলেন, ওই পাশবিক ঘটনায় আমরাও চাই অভিযুক্তদের শাস্তি হোক। কিন্তু আয়োজকরা টাঙ্গাইল জেলার সমিতির কেউনা দাবি করে তিনি বলেন, তাদের অধিকাংশই ছিল ছাত্রদল ও জামায়াত-শিবির সমথর্ক।
নিউজরুম