কৃষি ডেস্ক(৭ জানুয়ারী): রাসায়নিক সার, কীটনাশক ও হাইব্রিড বীজের বহুল ব্যবহারের কারণে অনেক স্থানীয় জাতের ধান ও অন্যান্য শস্যের জাত হারিয়ে গেছে এবং খুব কম জাতের শস্যই টিকে আছে। বর্তমানে উৎপাদিত সার ও কীটনাশকনির্ভর শস্য খেয়ে অনেক মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছে। বিশেষ করে নারী ও শিশুরা এর শিকার হচ্ছে বেশি।
সরকারের যথাযথ পরিকল্পনা ও পদক্ষেপের অভাবে আমাদের কৃষি ও জাতীয় সম্পদ আজ অরক্ষিত। তাই আধুনিকায়নের নামে যেন কৃষি, কৃষিপণ্য কিংবা সামগ্রিকভাবে কৃষি ব্যবস্থাপনায় কৃষকের অধিকার নাকচ করে বা উচ্ছেদ করে পরনির্ভশীল হয়ে না পড়ে, বিদেশের বহুজাতিক কোম্পানি যাতে কৃষি উৎপাদনে আধিপত্য বিস্তার না করে তার জন্য সরকারকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন সবার সম্মিলিত প্রয়াস।
আমাদের হাজার হাজার জাতের ধান, শস্যের বীজ ও দেশী জাতের বীজ রক্ষা করতে হবে। কেননা এটি সমৃদ্ধ শস্য ও বীজের বৈচিত্র্য। মোট কথা কৃষির আধুনিকায়নের বিরুদ্ধে নয়, বরং পরিবেশবান্ধব, উৎপাদনশীল, টেকসই কৃষিব্যবস্থা আমাদের গড়ে তুলতে হবে।
আমরা যদি এ বিষয়ে দৃষ্টি দেই তবেই কৃষিতে বিপ্লব ঘটানো সম্ভব। আর সরকার কিংবা ব্যক্তিগতভাবে একক চেষ্টায় তা সম্ভব না। তাই সম্মিলিতভাবে আমাদের সার এগিয়ে আসতে হবে। তবেই হাতের নাগালে আসবে আমাদের স্বপ্নের কৃষিবিপ্লব।
নিউজরুম