আর্ন্তজাতিক ডেস্ক(৭ জানুয়ারী): দিল্লিতে ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যাওয়া ছাত্রীর বাবা তার মেয়ের নাম প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, তার নিজের নাম বদ্রি সিং পান্ডে ও নিহত মেয়ের নাম জ্যোতি সিং পান্ডে।
তার মতে, প্রতীকী নামের বদলে মেয়ের আসল নামই সমাজের নির্যাতিতা নারীদের সাহসী হয়ে ওঠার শক্তি জোগাবে।
৫৩ বছর বয়সী বদ্রি সিং পান্ডে বলেন, এত দিন ধরে আমার মেয়ে ‘ভারত কন্যা’, ‘দামিনী’, ‘আমানত’ কিংবা ‘ব্রেইভহার্ট’ নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু এ প্রতীকী নামগুলো তার সাহসকে অস্বীকার করার মতো। তিনি মনে করেন, তার নাম প্রকাশে যৌন নির্যাতনের শিকার অন্য নারীরা বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা পাবে। গতকাল যুক্তরাজ্যের সানডে পিপলস সংবাদপত্রকে দেয়া এক সাাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
মেয়েটির বাবা বলেন, আমরা চাই বিশ্ব তার প্রকৃত নাম জানুক। আমার মেয়ে কোনো অন্যায় করেনি, প্রতিরোধ করতে গিয়ে মারা গেছেন।
তিনি আরো বলেন, আমি তাকে নিয়ে গর্বিত। তার নাম প্রকাশ করলে এই ধরনের নির্যাতন থেকে বেঁচে ফিরে আসা নারীরা সাহস পাবে। তারা আমার কন্যার কাছ থেকে শক্তি পাবে।
সানডে পিপল নির্যাতিতার ও তার পিতার নাম প্রকাশের অনুমতি দিয়েছে। তবে নির্যাতিতার পরিবারের অনুরোধে নির্যাতিতার কোনো ছবি প্রকাশ করা হবে না বলে জানিয়েছে সংবাদপত্রটি। যৌন অপরাধের জন্য নতুন আইন করে তা তার কন্যার নামে নামকরণের জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন এই পিতা।
১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে চলন্ত বাসের মধ্যে গণধর্ষণের শিকার হন ফিজিওথেরাপির ওই ছাত্রী। তার সাথে থাকা ছেলেবন্ধুকে পিটিয়ে আজ্ঞান করে ফেলে দুষ্কৃতকারীরা। পরে দু’জনকেই পিটিয়ে চলন্ত বাস থেকে ছুড়ে ফেলে দেয় তারা।
ঘটনার দুই সপ্তাহ পর সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে মারা যায় নির্যাতিতা মেয়েটি।
১৬ ডিসেম্বরের ওই গণধর্ষণের রোমহর্ষকতায় ভারতজুড়ে ব্যাপক বিােভ দেখা দেয়। বিােভে অচল হয়ে পড়ে ভারতীয় রাজধানী।
নিউজরুম