ফিরে দেখা ২০১২, ছাত্রলীগের কোন্দলে নিহত চার, আহত শতাধিক

0
158
Print Friendly, PDF & Email

রুপসীবাংলা ডেস্ক (৬জানুয়ারী)  : পদ্মা সেতুর চাঁদার ভাগ নিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী সোহেল হত্যা, শিবিরকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের গুলিবর্ষণ, নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে ভিসিবিরোধী আন্দোলন, ছাত্রলীগের হাতে ছাত্রশিক নির্যাতন, চাঁদাবাজি-ছিনতাই, ভিন্নমতালম্বীদের ওপর হামলাসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছিল আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। কিছু ঘটনা জাতীয় রাজনীতিকে চরমভাবে নাড়া দিয়েছে এবং আওয়ামী লীগ সরকারকে করেছে বিব্রত। এসব ঘটনার পরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্লিপ্ত থাকার বিষয়টি অবাক করেছে দেশবাসীকে।

শাহমখদুম হলের দায়িত্বরত এক পুলিশ কনস্টেবলকে কুপিয়ে আহত করার মধ্য দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১২ শুরু হয়। এক বছরে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও প্রতিপরে হাতে শিানগরী রাজশাহীর চার মেধাবী ছাত্র নিহত হয়েছেন ও আহত হয়েছেন শতাধিক। প্রকাশ্য দিবালোকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে যা প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত ও প্রদর্শিত হয়। পরে পুলিশ সংশ্লিষ্ট দলীয় ক্যাডারদের গ্রেফতার না করে নিরীহ সাধারণ শিার্থী ও বিরোধীদলীয় ছাত্রসংগঠনগুলোর কর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি করে। এ ছাড়া এ বছর ভিসির দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে শিকদের আন্দোলন, রাবি প্রশাসন ও পুলিশের বিভিন্ন অনৈতিক ও স্বেচ্ছাচারী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে শিক-শিার্থীদের আন্দোলনে উত্তাল ছিল ক্যাম্পাস।

বর্তমান সরকার মতায় আসার পর থেকেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে ছাত্রলীগ। এদের হাত থেকে রেহাই পায়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক-কর্মকর্তা, ছাত্রছাত্রী এমনকি পুলিশ সদস্যরাও। এর ধারাবাহিকতায় ২০১২ সালের পয়লা জানুয়ারি  এক পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে জখম করার মাধ্যমে বছর শুরু করে রাবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাহমখদুম হলে (এস এম হল) গেটে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবল আব্দুর রশিদসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা মোবাইল ফোনে ওয়াজ শুনছিলেন। এতে ুব্ধ হয়ে ওই হলের ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সুশান্ত, যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান, মিঠু ও ছাত্রলীগ কর্মী সালাম পুলিশ সদস্যদের জামায়াত-শিবির আখ্যা দিয়ে পুলিশ কনস্টেবল আব্দুর রশিদকে হলগেটের বাইরে আটকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। এ সময় অপর পুলিশ কনস্টেবল জাহিদ পালিয়ে আত্মরা করেন। পরে খবর পেয়ে মতিহার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকবর আলী ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগ কর্মীরা ফের তার ওপর হামলা চালায়। রাবি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি আহম্মেদ আলীর উপস্থিতিতেই এ ঘটনা ঘটে।

এর পরদিনই বেলা ১১টার দিকে মার্কেটিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিার্থী জুবায়েরকে শিবিরকর্মী সন্দেহে মারধর করে ছাত্রলীগ কর্মীরা। কাসে এক ছাত্রলীগ কর্মীর উপস্থিত না থাকার বিষয়টি কোর্স শিককে অবহিত করায় তাকে প্তি হয়ে ছাত্রলীগ কর্মীরা মারধর করে পুলিশে দেয়।

রাবি ছাত্রদল কর্মী সুইট হত্যাকাণ্ড : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্যব্যবস্থাপনা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ও ছাত্রদল কর্মী আনোয়ার হোসেন সুইট রহস্যজনকভাবে নিহত হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের ওলি বাবার মাজারের সামনে রেললাইন থেকে তার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে রেলওয়ে পুলিশ। ১২ ফেব্র“য়ারি রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুইট নগরীর মতিহার থানার ধরমপুর এলাকার নুরুন্নবীর ছেলে ও রাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। ময়নাতদন্তে আত্মহত্যা বলা হলেও তার সুরতহাল রির্পোট ও পরিবার, বন্ধুবান্ধবের দাবিÑ এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

নিহত সুইটের বাবা নুরুন্নবী বলেন, গত ১২ ফেব্র“য়ারি রেললাইন এলাকা থেকে সুইটের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার পেটে ছুরির আঘাত, পিঠে মেরুদণ্ডের পাশে ছিদ্র এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাতাড়ি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। তাৎণিকভাবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত অজ্ঞাত র‌্যাব কর্মকর্তারা ছুরির আঘাতে নিহত এবং লাশ রেললাইনের ওপর সাজিয়ে রাখা হয়েছে বলে জানান। তা সত্ত্বেও লাশের সুরতহাল না দেখে তড়িঘড়ি করে ময়নাতদন্তে সেটাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়া হয়।

রুয়েট ছাত্রলীগ কর্মী আজিজ হত্যাকাণ্ড : গত ১২ মার্চ ২০১২ সোমবার সকালে ছাত্রলীগ কর্মী রনি ও আজিজ নাশতা করার জন্য রুয়েট ক্যাফেটরিয়ার যান। এ সময় সেলিম হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মুন্না, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজীব, পলাশ, তানভীর ও জয়সহ ৮-১০ জন ছাত্রলীগ কর্মী সেখানে গেলে তাদের মধ্যে কথাকাটাটির একপর্যায়ে উভয় গ্র“পের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে রনি ও আব্দুল আজিজ আহত হন। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার হাবীব কিনিকে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে রুয়েট বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রভাবশালী শিকদের ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

পদ্মা সেতুর বলি ছাত্রলীগ নেতা সোহেল : পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগের পর বিশ্বব্যাংক মুখ ফিরিয়ে নিলে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেয় সরকার। এর পরই রাবি ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসের শিক-শিার্থীদের কাছ থেকে চাঁদা তোলা শুরু করে। গত ১২ জুলাই বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ক্যাফেটরিয়ায় এক অনুষ্ঠানে ৫০০ টাকা দিয়ে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাবি ভিসি প্রফেসর ড. আব্দুস সোবহান নিজেই। সভাপতি গ্রুপের নেতাকর্মীদের অভিযোগ, সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের নেতাকর্মীরা পদ্মা সেতুর আদায়কৃত টাকার অধিকাংশই আত্মসাৎ করে সামান্য পরিমাণ টাকা তারা জমা দিচ্ছে। অন্য দিকে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মীরা সভাপতি গ্রুপের বিরুদ্ধে একই রকম অভিযোগ করে। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে ১৫ জুলাই দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের সময় সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মী আব্দুল্লাহ আল হাসান সোহেলের মাথায় গুলি লাগে। আহত হন কয়েকজন।

গুলিবিদ্ধ সোহেলকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার আরো অবনতি হলে রাত ২টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ জুলাই সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সোহেলের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা তুহিনসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়।

বেসরকারি ভার্সিটির ছাত্র আব্দুর রহিম হত্যা : মেসে থাকার মতো তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২০ অক্টোবর রাজশাহী ইউআইটিএসের এক শিার্থী নিহত হন। ছাত্রাবাসের রুমে থাকাকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত শিার্থীর নাম আব্দুর রহীম।

এ ঘটনায় নিহত আব্দুর রহীমের মামা আব্দুল মতিন বাদি হয়ে মতিহার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সাকিবসহ আরো দুইজন এবং অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়। এ ছাড়া এক বছরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্র“পে ১০-১২টি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছে অর্ধশত ছাত্রলীগ নেতাকর্মী।

গত ২১ অক্টোবর আধিপত্য বিস্তারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে রক্তয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ছাত্রশিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় সেক্রেটারিসহ পাঁচ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ এবং সাংবাদিকসহ উভয় দলের ত্রিশ নেতাকর্মী আহত হয়।

সংঘর্ষ শেষে ক্যাম্পাসে শিবিরকর্মীদের ঢুকানোর অভিযোগে ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে বিােভ মিছিল করে ও ভিসির বাসভবনের গেট, প্রশাসন ভবন, জনসংযোগ দফতর, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, দোকানপাট, ক্যাম্পাসের বাস এবং পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালায় তারা। বিভিন্ন ভবনের ভেতরে শিবির অবস্থান করছে এমন ধারণায় অগ্রণী ব্যংক, রবীন্দ্রভবন, শহীদুল্লাহ ভবন ও মমতাজ উদ্দিন ভবনের ভেতরে থাকা সাধারণ শিার্থীদের ধাওয়া করে ছাত্রলীগ।

গত ২১ অক্টোবর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকা থেকে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীর হাতে বেদম পিটুনির শিকার হন রাবি ছাত্রলীগ কর্মী ইমরান হোসেন ডেভিড। তিনি ছাত্রলীগের শহীদ জিয়াউর রহমান হল প্রস্তুত কমিটির সদস্য ও ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র।

হলে থাকতে পারছেন না শিার্থীরা : ছাত্রলীগের কয়েকজন চিহ্নিত ক্যাডারের দাপটে হলে থাকতে পারছেন না আবাসিক শিার্থীরা। এই চক্রটি ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করলেও শিবির নিধনে সিদ্ধহস্ত হওয়ায় রাবি প্রশাসন ও পুলিশ এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না, ফলে তারা প্রতিনিয়ত আবাসিক হলগুলো শিবিরমুক্ত করার নামে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বর নির্যাতন চালায়। গত এক বছরে তিন শতাধিক শিার্থীকে মারধরের পর হল থেকে বের করে দেয় তারা। এ ছাড়া ছাত্রলীগের ভয়ে এই সময়ে দুই শতাধিক সাধারণ শিক্ষার্থী হল ছেড়ে চলে যায়। এ সব ঘটনা অবহিত থাকা সত্ত্বেও এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না হল প্রাধ্যক্ষ, বিশ্ববিদ্যালয় বা পুলিশ প্রশাসন।

ছাত্রলীগ ক্যাডার তাকিমের ওপর হামলা : গত ২১ নভেম্বর বুধবার রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় বেগম খালেদা জিয়া হলের সামনে ছাত্রলীগ নেতা তাকিম তার সহপাঠীদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এই সময় হঠাৎ কয়েকজন দুবৃর্ত্ত তাকে ঘিরে ফেলে। এ সময় তার কাছে থাকা নাইনএমএম একটি পিস্তলে গুলি লোড করার সময় দুবৃর্ত্তরা তার মাথায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এ সময় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে দুবৃর্ত্তরা তার পা ও হাতে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় ছাত্রলীগের এক অংশের নেতাকর্মীরা ছাত্রশিবিরকে দায়ী করলেও মঙ্গলবার রাতে এসএম হলের ছাত্রলীগ নেতা মামুনের সাথে তাকিমের কথাকাটাকাটি হয়। এ সময় তাকিম তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। এর ফলেও এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছেন ছাত্রলীগের অপর অংশের নেতাকর্মীরা।

ছাত্রলীগ নেতার কুরআন অবমাননা : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নর্দমায় ছুড়ে কুরআন অবমাননা করে এক ছাত্রলীগ নেতা। গত ২০ নভেম্বর রাবি ছাত্রলীগের উপ-ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও সমাজকর্ম বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র সূর্য কুমার এ ঘটনা ঘটায়। এর প্রতিবাদে তার ছাত্রত্ব বাতিলের দাবি জানান শিকেরা। তবে এ ঘটনায় রাবি প্রশাসন নির্লিপ্ত রয়েছে বলে আন্দোলনরত শিকেরা অভিযোগ করেন।

ভিসির অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদে অবস্থান ধর্মঘট : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর এম আব্দুস সোবহানের ৭৩-এর অ্যাক্ট লঙ্ঘন, নিয়োগ বাণিজ্য ও প্রশাসনে ব্যাপক অনিয়ম ও র্নীতির প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিকেরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।

প্রগতিশীল ছাত্রজোটের ওপর হামলা : মিছিল করতে গিয়ে গত ১০ অক্টোবর বুধবার পুলিশের বাধার মুখে পড়েন প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতাকর্মীরা। এ সময় পুলিশ জোট নেতাকর্মীদের ওপর ব্যাপক লাঠিচার্জ করে ও হামলা চালায়। পুলিশের হামলায় ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র ফেডারেশন ও বাসদ নেতাকর্মীসহ ১০ জন আহত হয়। পরে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হলেও ছেড়ে দেয়া হয়। তা ছাড়া গত ৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আবাসিক হলে বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আরিফ পারভেজকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে ছাত্রলীগ।

কাল্পনিক অভিযোগে মেহেদী গ্রেফতার : পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. শাহ হুসাইন আহমেদ মেহেদীকে ১৬ ডিসেম্বর নগরীর উপশহর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।

পরের দিন তাকে ৬ নভেম্বর রাজশাহীতে পুলিশের ওপর হামলা ও অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়ার কাল্পনিক অভিযোগে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। পরে তার মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন শিকেরা।

নিউজরুম

     
শেয়ার করুন