আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা জমে উঠছে

0
190
Print Friendly, PDF & Email

ব্যবসা ও অর্থনীতিডেস্ক(৬ জানুয়ারী):জমে উঠছে মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। পরপর দুদিনের সরকারি ছুটির শেষদিন গতকালও বিপুলসংখ্যক দর্শনার্থী মেলায় আসেন। কেনাকাটাও করেন প্রচুর। সন্ধ্যার পর বিভিন্ন স্টলে রীতিমতো ছিল ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। এছাড়া বিকাল থেকে খোলা জায়গা ফোয়ারার পাশে বসে আড্ডা দিতে দেখা গেছে অনেককে। শুধু কৌতূহলবশত এসেছেন এমন অনেকেই ঘুরে ঘুরে দেখেছেন মেলা। প্রিয়জনদের সঙ্গে আসা দর্শনার্থীর অনেকেই বিভিন্ন দৃষ্টিনন্দন স্পটে ছবিও তুলেছেন। গতকাল হাতেগোনা কয়েকটি স্টল ছাড়া প্রায় সবকটিই তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। তবে এখনও কয়েকটি স্টল আছে যেগুলো প্রস্তুত হতে আরও দুদিন লাগতে পারে। শেরেবাংলা নগর মাঠে বসা ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় গতকাল দুপুরে খুব একটা ভিড় দেখা যায়নি। কিন্তু সময় যত গড়িয়ে যাচ্ছিল তার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছিল লোকসমাগম। সন্ধ্যার পর দর্শনার্থীর পদচারণায় বেশ মুখরিত হয়ে ওঠে মেলা। এদিকে মেলা শুরুর পর বেশকিছু সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলেন আগতরা। উচ্চ শব্দে বিজ্ঞাপন প্রচারের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়েছেন দর্শনার্থীরা।
ব্যবসায়ী আমিনুর রহমান খান স্ত্রী বাচ্চাদের নিয়ে মেলায় এসেছেন। তিনি বলেন, এভাবে জোরে সাউন্ড সিস্টেম বাজতে থাকায় শিশুদের সমস্যা হচ্ছে। তারা কান্নাকাটি করছে। নাইমা ইসলাম নামের এক দর্শনার্থী বলেন, এত জোরে মাইকে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে যে কেনাকাটার সময় কারও কথা শোনা যায় না। জোরে কথা বলতে হচ্ছে। মেলায় ঢাকার বাইরে থেকেও আসছেন অনেক ক্রেতাদর্শনার্থী। ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় ব্যবসায়িক কাজে আসা হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী আবদুল করিম চৌধুরী বিকালে এসেছিলেন মেলায়। তিনি জানান, মাসে আর আসব কিনা বলতে পারছি না। তাই কাজ শেষে একটু সময় করে চলে এসেছি। কিছু ডেকোরেশন সামগ্রী কিনেছি। দেখছি এখন। আমার একমাত্র মেয়ের জন্যও কিছু কিনব।
এবারই প্রথম বাণিজ্যমেলায় না গিয়েও শপিংয়ের মাধ্যমে কেনাকাটা করতে পারছেন গ্রাহকরা। অনলাইনের মাধ্যমে দাম পরিশোধ করে ঘরে বসেই পাওয়া যাবে কাঙ্ক্ষিত পণ্য। বাণিজ্যমেলার প্রধান গেট দিয়ে ঢুকলেই সামনে পড়ে শপিংয়ের মিনি প্যাভিলিয়ন। এখানে দর্শনার্থীদের জানানো হচ্ছে কীভাবে তিনি ঘরে বসে কেনাকাটা করবেন। কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠান কিউকক্যাশের কর্মকর্তা সুমন রহমান জানান, দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে একজন গ্রাহক .িফরঃভবংযড়ঢ়.পড়সএই ঠিকানা ব্রাউজ করে পণ্য কিনতে পারবেন। ওয়েবসাইটে দেয়া পণ্য দেখে অর্ডার দিয়ে টাকা পরিশোধ করলে তিন কার্যদিবসের মধ্যে সুন্দবরন ক্যুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বাসায় পৌঁছে দেয়া হবে পণ্য। পণ্যের দাম ভিসা, মাস্টার কার্ড, কিউক্যাশের সঙ্গে যুক্ত সব ব্যাংকের ডেবিট কার্ড এবং ভিসা মাস্টার কার্ডের সুবিধা আছে এমন যে কোনো কার্ডের মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে। মেলার এক মাস উল্লিখিত ঠিকানায় কেনাকাটার সুযোগ থাকলেও বছরের অন্য সময়ে এবং .িনধহমষধফবংযনত্ধহফং.পড়সএই ঠিকানা থেকে একই সুযোগ পাওয়া যাবে বলে তিনি জানান। ইপিবির সঙ্গে এই পুরো কার্যক্রম ব্যবস্থাপনা করছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ফিউচার সল্যুশনস ফর বিজনেস। অনলাইনে পণ্য বিক্রির জন্য এখন পর্যন্ত যেসব প্রতিষ্ঠান চুক্তি করেছে, সেগুলো হলোআরএফএল, রোমানিয়া, বেঙ্গলমিট, বেঙ্গল প্লাস্টিক, বেঙ্গল রেফ্রিজারেটরস, এসএসবিসিএল, হামদর্দ, দা পার্পলস, এফবি সুজ, শামীশ রেফ্রিজারেটরস, এবিসি ফুটওয়্যার, প্রাণ, আর্টিসান, গাজী, কাজী গ্রুপ এপি।
এদিকে প্রতি বছরের মতো এবারও নানা ধরনের ছাড় দিয়ে গ্রাহক আকর্ষণের চেষ্টা করছেন ব্যবসায়ীরা। মেলা উপলক্ষে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ের ঘোষণা পাওয়া গেছে। ফ্যাশন প্রতিষ্ঠান স্মার্টেক্স দিচ্ছে ৫০ শতাংশ, প্রাণের সব পণ্যে ৩৪ শতাংশ এবং নাভানা গ্রুপের পণ্যে ১৭ শতাংশ ছাড় দেয়া হচ্ছে। ড্যানিসের ২৫০ টাকার পণ্য কিনলে একটি টিশার্ট উপহার দেয়া হচ্ছে। এছাড়া অটবি, আকতারসহ সব ফার্নিচারের প্যাভিলিয়নেও বিশেষ ছাড় দেয়া হচ্ছে

 

নিউজরুম

 

শেয়ার করুন