স্পোর্টস ডেস্ক(৬ জানুয়ারী):বিসিবি উত্তরাঞ্চলের দ্বিতীয় ইনিংসের ৬৭তম ওভার। মেহরাব জুনিয়রের পঞ্চম বলটাকে লেট কাট করে সীমানার বাইরে পাঠিয়েই যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন নাসির হোসেন। এই ৪ রানেই যে একটি দুষ্টচক্র ভাঙতে পারলেন জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার। চক্রটার নাম ‘নড়বড়ে নব্বই’। এর আগে টানা তিনটি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে (যার দুটি টেস্ট) নব্বইয়ের ঘরে আউট হয়েছিলেন নাসির।
প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে তৃতীয় সেঞ্চুরিটা পেতে তাঁকে অপেক্ষা করতে হলো প্রায় ১৪ মাস। ১৭ ইনিংস পর পাওয়া সেঞ্চুরিটাকে ১৩১ রানে নিয়ে যাওয়ার পরই আউট হয়েছেন নাসির। আর তাঁর দল ৬ উইকেটে ৩৯৭ রান করার পরই শেষ হয়ে যায় ম্যাচ। ফল সেই অনুমিত ড্র–ই।
২০১১ সালে অ্যান্টিগায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে বাংলাদেশে ‘এ’ দলের হয়ে সর্বশেষ সেঞ্চুরি পাওয়া নাসির ম্যাচ শেষে দিলেন মজার তথ্য। তথ্যটি নব্বইয়ের ঘরে নার্ভাস হওয়া নিয়ে, ‘আগের তিনটি নব্বইয়ের ইনিংসে আমি মোটেই নার্ভাস ছিলাম না। আজ (গতকাল) নার্ভাস ছিলাম। ৯০–এর ঘরে গিয়ে আমি আউট হয়ে যাই—সবাই এটা বলাবলি করায় নার্ভাস না হয়ে উপায় ছিল না।’
১১২ বলে ১৩১ করা নাসিরের ইনিংসে ছিল ৯টি চার ও ৪টি ছক্কা। ৫২ বলে ফিফটি, সেঞ্চুরি এসেছে ৮৯ বলে। উত্তরের ইনিংসে আছে আরও দুটি ফিফটি। ওপেনার মাইশুকুরের ১২৩ বলে ৭৩ ও অলরাউন্ডার ফরহাদ রেজার ৮৪ বলে অপরাজিত ৭৭। কাল ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলের হয়ে বল করেছেন ১১ জনই। আগের দিন মুশফিককে বল করতে দেখেই কিনা ১ ওভার বল করেছেন মধ্যাঞ্চলের উইকেটকিপার নুরুল হাসানও। তবে ৩ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার ব্যাট হাতে অনেক দিন পর সেঞ্চুরি পাওয়া আশরাফুল। এর আগে আগের দিনের ৪৩৪ রানের সঙ্গে আর মাত্র ২ রান যোগ করেই ইনিংস ঘোষণা করেছিল মধ্যাঞ্চল।
নিউজরুম