স্পোর্টস ডেস্ক(৫ জানুয়ারী): সোহাগ গাজী ও আব্দুর রাজ্জাকের পর নাবিল সামাদের স্পিনে এবার বেসামাল প্রাইম ব্যাংক সাউথ। শুধু তা–ই নয়, নাবিলের ওই বোলিংয়ে এখন জয়েরও স্বপ্ন দেখছে ইসলামী ব্যাংক ইস্ট। মিরপুর শেরেবাংলায় অনুষ্ঠিত এ ম্যাচে আর ১২৭ রান করলেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে ইস্ট। হাতে আট উইকেট। সারা দিনে একটু ধৈর্য ধরলেই জয়টা অনায়াসেই পেয়ে যাওয়ার কথা ইস্টের। কিন্তু টার্গেট কম রানের হলেও কঠিন একটা পথ পাড়ি দিতে হবে আজ। কেননা সোহাগ গাজী, আব্দুর রাজ্জাক যে একেবারে সহজে ছেড়ে দেবেন, তা কিন্তু নয়। তবুও গতকাল বিকেলে যে ব্যাটিংটা করেছেন ইস্টের ব্যাটসম্যানরা। সেটা পারফেক্ট টেস্ট মেজাজের। জিততে হলে ওই ব্যাটিংটাই আজও করতে হবে দুর্দান্ত ওই দুই বোলারের ঘূর্ণি মোকাবেলা করে।
এ দিকে দ্বিতীয় দিন পর্যন্ত ভালোই ছিল সাউথের অবস্থান। বিশেষ করে প্রথম ইনিংসে ইস্টকে ২৩২ রানে অল আউট করে দিয়েÑ দিন শেষে যখন রান ছিল তাদের ১২৯/১, তখন তাদের অবস্থান বেশ ভালোই ছিল। কিন্তু কাল সকাল থেকেই পাল্টে যায় ম্যাচের চিত্র। সূচনাটা করে দেন অভিজ্ঞ তাপস বৈশ্য। আগের দিন ইমরুল কায়েসকে নেয়া এ বোলার দিনের দুই রানের মাথায় সৌম্য সরকারকে আউট করে সূচনা করে দেন। এরপর নাবিল সামাদের স্পিনে বেসামাল হয়ে যায় প্রাইমের ইনিংস। খেলতেই পারছিলেন না তারা। যেমনটা হয়েছিল ইস্টের ইনিংসে। লাঞ্চ বিরতির আগেই হারিয়ে ফেলে তারা পাঁচ উইকেট। তুষার ও জিয়া ক্রিজে ছিলেন ওই সময়ে। লাঞ্চের পর খেলতে নেমে অল আউট হয়ে যায় তারা আবারো ২৪৮ রানে। প্রথম ইনিংসেও ওই একই স্কোর করেছিলেন তারা। নাবিল সামাদ নেন ছয় উইকেট। আগের দিন সোহাগ নিয়েছিলেন ৬৬ রানে ছয় উইকেট। এ দিন নাবিল নেন ৮১ রানে। এ ছাড়া তাপস নিয়েছিলেন তিন উইকেট। ব্যাট হাতে আগের দিনের অপরাজিত এনামুল বিজয় ও সৌম্যই যা করেন। এ ছাড়া আর কাউকেই সুবিধা করতে দেয়নি বোলারেরা। এনামুল বিজয় করেন সর্বোচ্চ ৭৩ রান। এ ছাড়া সৌম্য করেন ৪৮। এরপর মিথুনের ৩৮ ও জিয়ার ২৩ রান উল্লেখযোগ্য। বল হাতে নাবিলের বিশ্লেষণ হলো ৩৭–১০–৮১–৬। এ ছাড়া তিন উইকেট নেন তাপস ২৫ রানে।
এতে প্রাইম ব্যাংক সাউথের লিড দাঁড়ায় ২৬৪। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৬৫ রানের জয়ের টার্গেটে খেলতে নেমে ইস্টের দুই ওপেনার শাহরিয়ার নাফিস ও নাফিস ইকবাল। কিন্তু শাহরিয়ার সুবিধা করতে পারেনি এ ইনিংসেও। আউট হয়ে যান ২৩ রান করে সোহাগ গাজীর বলে। কিন্তু এরপর নাফিস ইকবাল রাজিনকে নিয়ে অসাধারণ একটা ইনিংস খেলেন। প্রাইমের সোহাগ ও রাজ্জাকের তোপের মুখেও অবিচল ছিলেন তারা উইকেটে। দেখে শুনে জয়ের সুন্দর একটা ভিত গড়ে দেন তারা। ৯৩ রানের পার্টনারশিপ উপহার দিয়ে দিনের একেবারে শেষ মুহূর্তে আউট হন নাফিস। ৬৩ রান করেছিলেন তিনি। ১২৪ বলে ১১টি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ওই রান করেন তিনি। রবিউলের বলে তিনি আউট হওয়ার পর রাজিনের সাথে এসে যোগ দেন মমিনুল। দিন শেষে ১৩৮/২ রান নিয়ে ক্রিজে তারা। রাজিন ৩৬ ও মমিনুলের রান পাঁচ। আজ ম্যাচের শেষ দিন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
প্রাইম ব্যাংক সাউথ প্রথম ইনিংস : ২৪৮ ও দ্বিতীয় ইনিংস : ২৪৮/১০, এনামুল বিজয় ৭৩, সৌম্য ৪৮, মিথুন ৩৮, জিয়া ২৩, (৯১ ওভার) নাবিল সামাদ ৬/৮১, তাপস ৩/২৫।
ইসলামী ব্যাংক ইস্ট প্রথম ইনিংস : ২৩২ ও দ্বিতীয় ইনিংস : ১৩৮/২ (৪২ ওভার), শাহরিয়ার ১২, নাফিস ইকবাল ৬৩, রাজিন ৩৬ ব্যাটিং, মমিনুল ৫ ব্যাটিং। সোহাগ গাজী ১/৪৫।
নিউজরুম