কৃষি ডেস্ক(৫ জানুয়ারী): ভোলা জেলার চরফ্যাসনে এবার প্রচুর পরিমাণে আমন ধান উৎপাদন হয়েছে। সোনালি রঙের ধানের ঢেউয়ে কৃষকের চোখে–মুখে আনন্দের হাসি দেখা যাচ্ছে। কিন্তু একই সাথে ফসলের দাম নিয়ে শঙ্কিত কৃষকেরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে, ভোলা জেলার চরফ্যাসনে ৩৫ হাজার কৃষক পরিবার আমন ধান চাষাবাদের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে। এ বছর চরফ্যাসনে ১০ হাজার ৩২৪ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ করা হয়েছে, যা ল্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ২১৮ হেক্টর বেশি। এর মধ্যে উফশি জাত ১০ হাজার ২৪ হেক্টর ও স্থানীয় জাত ৩০০ হেক্টর।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের হিসাব মতে, প্রতি হেক্টর জমিতে ২.৮ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে হিসাবে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে ৯০ শতাংশ আমন কাটা শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। বাকি ১০ শতাংশ কিছু দিনের মধ্যে শেষ হবে। তবে কৃষকেরা আমনের বাজার নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন।
তারা জানান, অনেক কষ্ট করে চাষাবাদ করে বাজারে এর সঠিক মূল্য পাওয়া যায় না। কারণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেন, চাষাবাদের সরঞ্জামাদি খুবই ব্যয়সাপে। অন্য দিকে সরকারি ক্রয় কী, সেটাই জানেন না অনেক কৃষক!
হাজিরহাট এলাকার কৃষক ধনা কবির হোসেন জানান, এবার তিনি আধা হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপণ করেছিলেন। ফসল বেশ ভালো হয়েছে। বাজারে ধান তুললেও এর ন্যায্য দাম পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, ফসল উৎপাদনের খরচ বেশি। তার ওপর বাজারে ধানের দামও নেই। তাই সব কিছু মিলে লাভ থাকে না, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে লোকসান হয়।
নিউজরুম