স্পোর্টস ডেস্ক(৫ জানুয়ারী): বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে খেলতে তাঁর আসার কথা ১৩ জানুয়ারি। কিন্তু আগেই এক দফা বাংলাদেশে আসতে হলো আবদুল রাজ্জাককে। দুরন্ত রাজশাহীর স্বত্বাধিকারী মুশফিকুর রহমানের কথায় পাকিস্তানি অলরাউন্ডারের ঢাকা আগমন ‘পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের বিপিএল খেলা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটাতে।’ তবে ধোঁয়াশা কতটা কাটল বা আদৌ কাটল কি না, সেই প্রশ্ন কিন্তু থাকছেই!
নিজের খেলার নিশ্চয়তা দিলেন রাজ্জাক, অনাপত্তিপত্র দিয়েছেন নিলামের আগেই। আশাবাদী সতীর্থরা আসবেন বলেও। তবে আরেকটা কথাও জানিয়ে দিলেন, ‘মোহাম্মদ সামি, ইমরান নাজিরের সঙ্গে কথা হয়েছে আমার। ওরা আসতে চায়। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে পিসিবির ওপর। পিসিবি যা বলবে, সেটাই করতে হবে। আশা করি, পিসিবি সব খেলোয়াড়কে আসতে দেবে।’ প্রশ্ন হলো, এসব তো জানাই ছিল। এত ঘটা করে রাজ্জাকের কাছ থেকে তা শোনার কী প্রয়োজন ছিল!
একটা ব্যাপার অবশ্য নিশ্চিত করেছেন রাজ্জাক। পাকিস্তানি পত্রপত্রিকায় যা লেখা হয়েছে, সেসবের সত্যতা নেই, ‘বিপিএলে আসা যাবে না, এমন কোনো নির্দেশনা আমরা পিসিবির কাছ থেকে পাইনি। পাকিস্তানে এমন কিছু শুনিনিও আমি।’
এমনিতে পিসিবি তাঁকে আটকাতে পারে না। বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে নেই তিনি। তবে আবার পাকিস্তান দলে ফিরতে চান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে চান আরও ২–৩ বছর। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, বোর্ডের সঙ্গে কোনো রকম ঝামেলায় যাওয়ার ইচ্ছে নেই।
ফ্লাইট–জটিলতায় ঢাকা আসতে সময় লেগে গেছে ৩৬ ঘণ্টা। ভিসার ঝামেলায় আবার বিমানবন্দরে আটকা ছিলেন আরও ঘণ্টা চারেক। চেহারায় ক্লান্তির ছাপ অবশ্য ছিল না। কিন্তু মুখের কুলুপ খোলা গেল না কোনোভাবেই। বিসিবি–পিসিবি সম্পর্ক, এমনকি ভারত সফরের দলে থাকা—এসব প্রশ্নে মুখ খুলতে নারাজ। নিজ দেশের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে খানিকটা সাফাই অবশ্য গাইলেন, ‘পাকিস্তানি হিসেবে আমি কোনো সমস্যা দেখি না। পেশোয়ারের মতো কিছু এলাকায় সমস্যা আছে। অন্য সব জায়গা নিরাপদ।’
আজই দেশে ফিরে যাবেন। ফিরতে হবে আবার দ্রুতই। শোনা যাচ্ছে দুরন্ত রাজশাহীর নেতৃত্বও পেতে পারেন।
নিউজরুম