ঢাকা (৪জানুয়ারী) : অভ্যন্তরীণ বাজারে ডালের সরবরাহ স্বাভাবিক রেখে অল্প মুনাফা করার জন্য আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের আহবান জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডালের মজুদ, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক বৈঠকে এ আহবান জানানো হয়।
মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাণিজ্য সচিব মাহাবুব আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ডাল আমদানিকারক, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সূত্র জানায়, বর্তমানে আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের কাছে ১২ লাখ মেট্রিক টন ডাল মজুদ আছে। এছাড়া ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) কাছে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ১০ হাজার মেট্রিক টন ডাল মজুদ রয়েছে।
বৈঠকে ব্যবসায়ীরা অভ্যন্তরীণ বাজারে ডালের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে আন্তর্জাতিক বাজারে ডালের দাম বেড়ে যাওয়া ও দাম বাড়ার কারণে আমদানি কমে যাওয়ার কথা উল্লেখ করেন। এছাড়া দেশে উৎপাদিত ডালও এখন প্রায় শেষ হয়ে গেছে। আগামী এক মাসের মধ্যে দেশীয় ডাল বাজারে এলে দাম কমে যাবে বলে তারা জানান।
আমদানির ক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষায় টিসিবি’র মাধ্যমেও আমদানির পরিমাণ বাড়ানোর সুপারিশ করেন ব্যবসায়ীরা।
বৈঠকে পণ্যের অতিরিক্ত মজুদ না করা, সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও অতিরিক্ত মুনাফা না করার জন্য ব্যবসায়ীদের আহবান জানান বাণিজ্য সচিব।
তিনি বলেন, “ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা প্রদানের জন্যই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাজ করে থাকে। ডালের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনে সরকার ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সহযোগিতা দেবে। কিন্তু ব্যবসায়ীদেরও বিধি-বিধান মেনে দায়িত্বশীল হতে হবে। নিয়ম বহির্ভূত কিছু করলে সেক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
টিসিবি সূত্র জানায়, বর্তমানে টিসিবি’র মজুদকৃত ডাল বড় দানা ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে এবং মাঝারি দানা ৮০ থেকে ৮৫ টাকা দরে ডিলাররা বিক্রি করছেন। অন্যদিকে আমদানিকৃত ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা দরে।