কৃষিবিদদের প্রশংসা প্রধানমন্ত্রীর

0
258
Print Friendly, PDF & Email

কৃষি ডেস্ক(৩ জানুয়ারী):প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিগত চার দশকে নিরলস সৃজনশীল প্রচেষ্টার মাধ্যমে খাদ্যশস্যের উত্পাদন বৃদ্ধির জন্য দেশের কৃষিবিদদের প্রশংসা করেছেন। স্বাধীনতার পর থেকে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিবিদ কৃষি বিজ্ঞানীদের প্রচেষ্টায় খাদ্যশস্যের উত্পাদন তিনগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি তাঁদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
আজ বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সুবর্ণজয়ন্তী পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। খবর বাসসের।
শেখ হাসিনা বলেন, খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাঁর সরকার ২০১৩ সালের মধ্যে দেশকে খাদ্যশস্য উত্পাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এরই মধ্যে এই লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে। এই অর্জনকে এখন টেকসই স্থায়ী রূপ দিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বৃহত্তর অর্জনগুলোর মধ্যে কৃষিখাতের অর্জন হচ্ছে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দৃশ্যমান। আওয়ামী লীগের সরকারকে কৃষিবান্ধব অভিহিত করে শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকারের দারিদ্র্য বিমোচন খাদ্যনিরাপত্তা বিধানের প্রধান কৌশল হলো কৃষির উত্পাদন বৃদ্ধি সুষ্ঠু বিপণনব্যবস্থার মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনজীবিকার উন্নয়ন।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার জনগণের খাদ্য পুষ্টিনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ক্ষেত্রে কৃষি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কৃষির ভূমিকার কথা বিবেচনা করেই জাতির পিতা ১৯৭৩ সালে কৃষি গ্রাজুয়েটদের প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড পদমর্যাদায় উন্নীত করেন। তাঁর সেই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের ফলস্বরূপ আজ কৃষি শিক্ষা গবেষণার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে বিপ্লব সাধিত হয়েছে।
দেশের প্রধান এই কৃষি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সুবর্ণজয়ন্তীতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাইদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধে প্রতিষ্ঠানটির গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার কথা স্মরণ করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং কর্মকর্তাকর্মচারীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য রফিকুল হক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন

 

নিউজরুম

 

শেয়ার করুন