স্পোর্টস ডেস্ক(৩ জানুয়ারী): নাসির জামশেদের ব্যাট থেকে এসেছে আরও একটি দারুণ শতরান। উদ্বোধনী জুটিতে মোহাম্মদ হাফিজ আর নাসির জামশেদের মিলিত সংগ্রহ ছিল ১৪১ রান। কিন্তু এর পরপরই ব্যাটিংয়ে পথ হারিয়ে নিজেদের সংগ্রহটা অন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারেনি পাকিস্তান। তারা অলআউট হয়েছে ২৫০ রানে; ইনিংসের ৯ বল বাকি থাকতেই। প্রথম ২৫ ওভারে ১৪৫ রান করা পাকিস্তান শেষের ২৫ ওভারে করতে পেরেছে মাত্র ১০৫। এই ১০৫ রান করতে তারা উইকেট হারিয়েছে আটটি। ‘মর্নিং শোজ দ্য ডে’ বলে যে কথাটি প্রচলিত আছে, ইডেনে আজ তা একরকম মিথ্যেই প্রমাণ করল পাকিস্তান।
নাসির জামশেদ এই সিরিজে টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি (১০৬) করে নিজের দায়িত্বটি সেরেছেন। হাফিজও ৭৬ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে সূচনাটা ভালোই দিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু এই দুই ব্যাটসম্যান ছাড়া পাকিস্তানের আর সবাই ব্যর্থ দলের সংগ্রহে অবদান রাখতে। আজহার আলী, ইউনুস খান, কামরান আকমল, মিসবাহ–উল–হকের মিলিত সংগ্রহ মাত্র ১৪ রান। শেষের দিকে শোয়েব মালিকের ২৪ আর উমর গুলের ব্যাট থেকে কিছু রান না এলে পাকিস্তানের দলীয় সংগ্রহ আড়াই শও ছোঁয় না।
টসে জিতে বোলিং নিয়ে বেশ বিপদেই পড়ে গিয়েছিল ভারত। অশোক ডিন্ডা ও ভুবনেশ্বর কুমারের বোলিংয়ের ওপর চড়াও হয়েছিলেন দুই পাকিস্তানি ওপেনার নাসির জামশেদ ও মোহাম্মদ হাফিজ। উইকেটের চারদিকে মেরে এই জুটি তরতর করে রান তুলতে থাকে। মাত্র ২৩ ওভারে দলের স্কোর দাঁড়ায় ১৪১। দারুণ এক জুটি গড়ে মোহাম্মদ হাফিজ প্যাভিলিয়নে ফেরেন রবীন্দ্র জাদেজার বলে বোল্ড হয়ে। স্কোরবোর্ডে তখন তাঁর নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ৭৬ রান।
হাফিজের বিদায়ের পর দৃষ্টিকটুভাবে রান আউট হন আজহার আলী। ইউনুস খান ফেরেন ১০ রান করে। মিসবাহ করেন ২। কামরান আকমল তো খুলতে পারেননি তাঁর রানের খাতাই।
পাকিস্তানের ইনিংসের প্রথম দিকে ভারতীয় পেসাররা ছিলেন খরুচে। ডিন্ডা ও ভুবনেশ্বর ওভারপ্রতি সাত রান করে দিচ্ছিলেন। সেই রান খরচে লাগাম টেনে ধরেন রীবন্দ্র জাদেজা। এই বাঁহাতি স্পিনার নিজের ১০ ওভারে দেন ৪১ রান। বিনিময়ে তুলে নেন পাকিস্তানের ৩ উইকেট। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে জাদেজা হাফিজ, নাসির জামশেদ ও কামরান আকমলকে আউট করে পাকিস্তানের সংগ্রহকে নিজেদের ক্ষমতার বাইরে যেতে দেননি।
রবীন্দ্র জাদেজার পাশাপাশি ইশান্ত শর্মাও ছিলেন স্বমহিমায় উজ্জ্বল। ৯.২ ওভার বল করে ৩৩ রান দিয়ে তাঁর সংগ্রহ ২ উইকেট। এই দুজন ছাড়া ভুবনেশ্বর কুমার, সুরেশ রায়না ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন নিজেদের ঝুলিতে ভরেছেন একটি করে উইকেট।
নিউজরুম