কলাপাড়ায় পাঁচ শতাধিক অতিথি পাখি বিষপ্রয়োগে নিধন

0
251
Print Friendly, PDF & Email

কৃষি ডেস্ক(৩ জানুয়ারী):কলাপাড়ায় অন্তত পাঁচ শতাধিক অতিথি পাখি বিষ প্রয়োগে নিধন করেছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। ঘটনার পর থেকে হাজার হাজার অতিথি পাখি আশ্রয়ের সন্ধানে ছোটাছুটি করছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার শেষ বিকালে উপজেলার ধুলাসার ইউনিয়নের কাউয়ারচরে। প্রতিদিন এভাবে পাখি শিকার করে স্থানীয় হাটবাজারসহ বিভিন্ন বাড়িতে প্রকাশ্যে বিক্রি করলেও প্রশাসন নীরব। এমনকি দায়িত্বপ্রাপ্ত বনবিভাগের বন প্রহরী স্থানীয় ইউপি সদস্য শিকারিদের আটকের পর মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কুয়াকাটা সৈকতের পূর্ব দিক থেকে ধুলাসার ইউনিয়নের কাউয়ারচর পর্যন্ত রয়েছে বিশাল সংরক্ষিত বনাঞ্চল। প্রতি বছর শীত মৌসুমে হাজার হাজার বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখি শীতপ্রধান অঞ্চল থেকে এসে এখানে আশ্রয় নেয়। পাখি দেখার জন্য কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটকরা ভিড় করে সেখানে। কিন্তু এসব পাখি শিকার করার জন্য স্থানীয় প্রভাবশালীরা মেতে উঠে উত্সবে। গত কয়েকদিন ধরে কাউয়ারচর সৈকতে ছোট মাছের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে ফেলে রাখে শিকারিরা। এর পর ওই মাছ খেতে ছুটে আসে নানা প্রজাতির বিভিন্ন আকারের অতিথি পাখি। বিষ মেশানো মাছ খেয়ে পাখিগুলো সৈকতের বালিয়াড়িতে লুটিয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে শিকারিরা পাখিগুলো ধরে ফেলে। এরপর তা স্থানীয় হাটবাজারসহ গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিক্রি করে। মঙ্গলবার শেষ বিকালে ঘটে সবচেয়ে বড় শিকারের ঘটনা। অন্তত পাঁচ শতাধিক নানা প্রজাতির পাখি বিষ মেশানো মাছ খেতে ছুটে আসে সৈকতে। আর ওঁেপতে থাকা শিকারিরা তা ধরে সৈকতে বসেই জবাই করে। ঘটনা শুনে ছুটে আসে কাউয়ারচর বিডের বন প্রহরীরা স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আবুল হোসেন। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ঘটনা বনবিভাগের কর্মকর্তাদের জানালে বন প্রহরী জাকির, কবির ধুলাসার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. আবুল হোসেন ঘটনাস্থলে এসে দুই যুবককে আটক করে। কিন্তু পরে তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। ব্যাপারে ধুলাসার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. আবুল হোসেন জানান, তিনি স্থানীয়দের কাছে পাখি মারার ঘটনা শুনে সৈকত এলাকায় ছুটে যান এবং দুজনকে আটক করেন। কিন্তু তাদের জিজ্ঞাসা করার পর নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় ছেড়ে দিয়েছেন। তবে কোনো টাকা নেননি। ব্যাপারে বনবিভাগের বিড কর্মকর্তা মো. রেজাউল জানান, তিনি ঘটনার সময় ধুলাসার এলাকায় ছিলেন। পরদিন তিনি স্থানীয়দের কাছে ঘটনাটি জেনেছেন

 

নিউজরুম

 

শেয়ার করুন