স্পোর্টস ডেস্ক(৩ জানুয়ারী): ১৯৮৬সাল।নাটোরেরগুরুদাসপুরথানার২১বছরেরএকতরুণীকেতুলেআনলবাংলাদেশআনসার।খেলোয়াড়কোটায়চাকরিহলো, কাজশুধুহ্যান্ডবলখেলা।সেবছরইজাতীয়চ্যাম্পিয়নশিপেদেশেরক্রীড়ামঞ্চেআগমন।সেইযাত্রাসাঙ্গহলোকাল।২৬বছরদাপিয়েশুধুইহ্যান্ডবলখেলেঅবসরনিলেনজাহানারাবেগম।
বাংলাদেশেরখেলাধুলারসংসারেকতঅজানানামআছে, যাঁদেরপ্রাপ্তিবলতেশুধুইখেলারআনন্দ।ফুটবল–ক্রিকেটখেললেতবুলোকেএকটুচেনে।বাকিঅনেকখেলায়গোটাজীবনউৎসর্গকরলেওবেশিরভাগইপ্রচারেরআড়ালেইথেকেযান।জাহানারাবেগমওএমনইএকজন।
তবেকালবিকেলেপল্টনহ্যান্ডবলস্টেডিয়ামেতাঁরবিদায়টাসাড়ম্বরইহলো।সতীর্থদেরকাছথেকেপাওয়াফুলেলসংবর্ধনায়তিনিআপ্লুত, ‘এতভালোলেগেছেযেবলারমতোনয়।’ তবেঅতৃপ্তিএকটাথাকলই।ইচ্ছাছিল, জাতীয়হ্যান্ডবলেরফাইনালেবিদায়বলবেন।কিন্তুপরিস্থিতিরকারণেকালসেমিফাইনালেইইতিটানতেবাধ্যহলেনদীর্ঘক্যারিয়ারের।শেষম্যাচেওঅবশ্যজিততেদেখলেনআনসারকে।
বিভিন্নটুর্নামেন্টে১৫–১৬বারসেরাখেলোয়াড়হয়েছেন।খেলেছেনজাতীয়দলেও।জাতীয়দলেরঅধিনায়কওছিলেন।তাঁরসমকালীনখেলোয়াড়েরাবিদায়নিয়েছেনবেশআগেই।সংসারসামলেখেলাঅনেককঠিন। ‘সেইকঠিনেরেইভালোবাসিলাম’ প্রতিজ্ঞাইএতবছরচালিয়েযাওয়ারপ্রেরণাজুগিয়েছেজাহানারাকে।বছরখানেকআগেমাকেহারিয়েছেন।মা–ইছিলতাঁরপথচলারবড়সহায়। ‘আমারছেলেমেয়েকেমাদেখাশোনাকরতেন।মাসহযোগিতানাকরলেহয়তোএতদিনখেলতেপারতামনা।স্বামীওঅনেকসহযোগিতাকরেছেন’—বলতেবলতেচোখছলছলেদুইসন্তানেরজননী৪৭পেরোনোজাহানারার।
একমাত্রছেলেএসএসসিপরীক্ষাদিয়েছে।মেয়েপড়ছেষষ্ঠশ্রেণীতে।ছেলেমেয়েকেনিয়েইএখনতাঁরসবভাবনা।ওদেরকথাভেবেইআনসারেরচাকরিটাচালিয়েযাবেনযতদিনপারেন।সেই ’৮৬–তেএসেউঠেছিলেনআনসারেরসদরদপ্তরসফিপুরে।আজওসেখানেইআছেন।পেয়েছেনকোয়ার্টার।
বিদায়বেলায়আক্ষেপেরকথাওবললেন, ‘ফেডারেশনআজএকটামেডেলদিয়েদায়িত্বশেষকরেছে।কই, জীবনেতোআরকিছুপেলামনা।আনসারআমাকেআরখেলাতেচাইছিলনা।বয়সহয়েছে।পায়েব্যথা।’ বলেইআবারমনেপড়েযায়আনসারেরকল্যাণেইএতদূরআসা, ‘আনসারআমাকেঅনেকসমর্থনদিয়েছে।বলেছে, আমাকেপ্রয়োজনেনাটোরেপোস্টিংদেবে।যাতেবাড়িতেথেকেইআমিঅফিসকরতেপারি।এখনআমিহ্যান্ডবলকোচহিসেবেকাজকরতেচাই।’
খেলারজন্যকমত্যাগস্বীকারকরেননি, ‘২০০২সালেবাংলাদেশগেমসখেলারসময়ঢাকায়ছিলাম।আমারনয়মাসেরমেয়েঅসুস্থহয়েমারাগেল।তিনদিনপরবাড়িগিয়েওরকবরদেখলাম।খেলাছিলবলেমায়েরমৃত্যুরসময়ওপাশেথাকতেপারিনি।সবসময়ইএকটাকথাশুনতেহয়েছে, তোমাকেখেলতেইহবে।’
জাহানারাবেগমও২৬বছরধরেখেলেইগেলেন!
নিউজরুম