ঢাকা (২ জানুয়ারী) : মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামান তার মামলা পুনরায় শুরুর আবেদন করেছেন।
বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ মামলাটি পুনরায় শুরুর আবেদন জানান কামারুজ্জামানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।
চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল বৃহস্পতিবার এ আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
উল্লেখ্য, ট্রাইব্যুনাল-১ এ বিচারাধীন জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম, বর্তমান আমির মতিউর রহমান নিজামী ও নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলা ৩টি পুনরায় শুরু করার আবেদন জানিয়েছিলেন তাদের আইনজীবীরা। আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন বিশেষজ্ঞ বেলজিয়ামের ব্রাসেলস প্রবাসী বাংলাদেশি আহমেদ জিয়াউদ্দিনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর পদত্যাগী চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের স্কাইপি কথোপকথনের সূত্র ধরে আবেদনগুলো করেছে আসামিপক্ষ।
আবেদনগুলোর শুনানি মঙ্গলবার শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার আদেশের জন্য দিন ধার্য রেখেছেন ট্রাইব্যুনাল-১।
একই বিষয়ের সূত্র ধরে এবার ট্রাইব্যুনাল-২ এও মামলা পুনর্বিচারের আবেদন জানাল আসামিপক্ষ
কামারুজ্জামানের মামলা ট্রাইব্যুনাল-২ এ থাকার পরেও কেন তার মামলা পুনরায় শুরু করতে হবে জানতে চাইলে অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমরা ট্রাইব্যুনাল-২ এর কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করিনি। কামারুজ্জামানের মামলা যখন বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল-১ এ ছিল, তখন তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) গঠন করা হয়েছিল। ওই আনুষ্ঠানিক অভিযোগের ভিত্তিতে ট্রাব্যুনাল-২ এর মামলাটিতে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করা হয়েছে, যা চক্রান্তেরই একটি অংশ।’’
তিনি বলেন, “আমরা মনে করি, এ মামলার চার্জ গঠনের আদেশটি আহমেদ জিয়াউদ্দিন ব্রাসেলস থেকে পাঠিয়েছিলেন এবং তার পাঠানো ই-মেইলের ওপর ভিত্তি করেই পরবর্তী সময়ে আসামি কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল। কারণ, একটি মামলায় অভিযোগ গঠনের আগে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করা গঠন করা হয়।’’
‘‘এ বিচারে চার্জ গঠনের আদেশ বাইরে থেকে এসেছে। এটা চিন্তারও অতীত। দুনিয়ার ইতিহাসে এটা ঘটেনি। বিচারপতি নিজামুল হককে অপসারণের যে আবেদন করা হয়েছিল, সে আবেদনের আদেশও বাইরে থেকে এসেছে। রায়ের কাঠামো কি হবে, তাও বাইরে থেকে এসেছে। এরপর ট্রাইব্যুনালের স্বাধীনতা থাকল কোথায়?’’
ট্রাইব্যুনালকে উদ্দেশ্য করে অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, ‘‘আপনারা যদি সিদ্ধান্ত নেন যে, বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম যা রেখে গেছেন, সেখান থেকে তার ওপর ভিত্তি করে রায় দেবেন তা দিতে পারেন। কিন্তু তার গ্রহণযোগ্যতা কতোটুকু হবে, তা আপনাদের ভাবতে হবে।’’
নিউজরুম