নাটোর ১ জানুয়ারী) : নাটোর সদর উপজেলার হালসা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র অনন্ত চক্রবর্তী অন্তু হত্যা মামলায় ২ আসামিকে বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র দেওয়ায় এ মামলার বাদী নারাজি দিয়েছেন।
এরা হলেন-মামলার প্রধান দুই আসামি শাজাহান আলী ও আব্দুল্লাহ আল মামুন। মঙ্গলবার দুপুরে অন্তুর বাবা মামলার বাদী অশোক কুমার চক্রবর্তী নাটোরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লিয়াকত আলী মোল্লার আদালতে নারাজি দাখিল করেন।
আদালত নারাজি আবেদন গ্রহণ করে আগামী ১৩ জানুয়ারি শুনানির জন্য দিন দিয়েছেন। আদালতে চলতি বছরের ৩১ মে সন্ধ্যায় ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে সদর উপজেলার হালসা গ্রামের ছেলে অন্তুকে অপহরণের পর ওই রাতেই হত্যা করা হয়।
অপহরকারী প্রতিবেশি আশরাফ আলী তার মোবাইল ফোন থেকে অন্তুর বাবার কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অন্তুর বাবা তার দাবিকৃত টাকা দিতে রাজিও হন। কিন্তু অন্ত বাড়িতে বাবা-মার কাছে ফিরে যাওয়ার জন্য কান্নাকাটি শুরু করলে তাকে গলাটিপে হত্যা করা হয়।
এদিকে, মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে হালসা গ্রামের নেককবর মুন্সির ছেলে আশরাফ আলী (২৮), মহসিন আলীর ছেলে শাহজাহান আলী(৩০) ও সোলেমান আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুনকে(২৭) গ্রেফতার করে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হালসা মাদ্রাসার পাশে আশরাফের পানের বরজের মধ্যে মাটির নিচে থেকে অন্তুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে ১ জুন অন্তুর বাবা বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় (১)শাজাহান আলী,(২)আব্দুল্লাহ আল মামুন ও(৩) আশরাফ আলীকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামিরা নাটোরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রওশন আলমের কাছে মুক্তিপণের দাবিতে অন্তু হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা(আইও) আসলাম হোসেন প্রধান দুই আসামি শাজাহান আলী ও আব্দুল্লাহ আল মামুনকে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র আশরাফ আলীর বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন আসামি শাজাহান আলী ও আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে কোনো সাক্ষী প্রমাণ না পাওয়ায় আদালতে তাদের মামলার দায় হতে অব্যাহতি চাওয়া হয়েছে। এদিকে, অন্তুর বাবা অশোক কুমার চক্রবর্তী বলেছেন,পুলিশ যে কোনোভাবে প্রভাবিত হয়ে এজাহার নামীয় প্রধান দুই আসামিকে বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র দিয়েছে।
নিউজরুম