তাজরীন মালিক ১০ মাসের মুনাফা ১দিনে করেছেন: ইসমাইল

0
234
Print Friendly, PDF & Email

ব্যবসা ও অর্থনীতি ডেস্ক  তাজরীন গার্মেন্টের মালিক ১০ মাসের মুনাফা এক দিনেই করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন গার্মেন্ট শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি মাহবুবুর রহমান ইসমাইল।

তাজরীনে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে সোমবার বেলা ১১টায় গার্মেন্ট শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ ও গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির বিজিএমইএ ভবন ঘেরাও কর্মসূচিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।

মাহবুবুর রহমান ইসমাইল বলেন, ‘‘তাজরীনের মালিক দেলোয়ার অগ্নিকাণ্ডে ইন্স্যুরেন্স বাবদ ১৮ কোটি টাকা, ব্যাংকের দায় ২শ’ কোটি টাকা ও গোডাউনের মালামাল ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫০০ কোটি সর্বমোট ৭১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। এ পরিমাণ অর্থ তিনি ১০ মাসেও আয় করতে পারতেন না। তাই বলা যায়, তাজরীনের মালিক ১০ মাসের আয় এক দিনেই করেছেন।’’

তিনি বলেন, ‘‘দুর্ঘটনার পর পুলিশ গার্মেন্টের ৩ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করলেও মালিককে গ্রেফতার করেনি। গার্মেন্ট কারখানার শ্রমিক হত্যার ঘটনায় এবারও মালিক ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেলো।’’

শ্রমিকদের এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ মোটেও যুক্তিসঙ্গত নয় দাবি করে তিনি বলেন, ‘‘তাজরীনে নিহত পোশাক শ্রমিকদের এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে তা একজন শ্রমিকের স্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ। তা কোনোভাবেই একজন শ্রমিকের নির্মম মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ হতে পারে না।’’

দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকের ক্ষতিপূরণের জন্য প্রয়োজনে শ্রম আইন সংশোধনের দাবি জানান এ শ্রমিকনেতা।

কর্মসূচিতে শ্রমিক নেতারা বলেন, তাজরীনের মালিককে রেহাই দেওয়ার জন্যই বিজিএমইএ ও সরকার ষড়যন্ত্র করছে। এতো শ্রমিক মারা গেল কিন্তু ঘটনাস্থলে পুলিশ ছাড়া সরকারের উচ্চ পর্যায়ের তেমন কাউকেই দেখতে পাইনি।

ঘেরাও কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, গার্মেন্টস শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব হারুন অর রশিদ, সদস্য বাহারানে সুলতান বাহার, শবনম হাফিজ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরের মনোসন্তোষপুর এলাকার তোবা গ্রুপের তাজরীন গার্মেন্টসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে পরদিন রোববার বিকেল চারটা পর্যন্ত ১১২টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় সারাদেশে শোকের ছায়া নেমে আসে।

রাষ্ট্রীয়ভাবে ২৭ নভেম্বর মঙ্গলবার শোক পালন করা হয়। এ উপলক্ষে ওইদিন সব পোশাক কারখানায় ছুটি দেওয়া হয়। আর দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া শ্রমিক ও অন্য স্টাফরা তাদের বকেয়া বেতনসহ নিহত-আহতদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করছে।

নিউজরুম

শেয়ার করুন