রুপসীবাংলা, ঢাকা (০৩ ডিসেম্বর) : আশুলিয়ার তাজরীন গার্মেন্টসের অগ্নিকাণ্ড দুর্ঘটনা নয়, কারখানাটিতে আগুণ লাগানো হয়েছে বলে তথ্য পেয়েছে বাংলাদেশ তৈরি পোষাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) তদন্ত দল। এছাড়া তদন্ত দল অগ্নিকাণ্ডের সময় গেট তালাবন্ধ রাখারও প্রমাণ পেয়েছে।
তাজরীনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিজিএমইএ গঠিত তদন্ত কমিটি সূত্রে রোববার এ তথ্য জানা গেছে। সোমবার তদন্ত দল তাদের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেবে বলেও জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
বিজিএমইএ তদন্ত দলের প্রধান বিজিএমইএ সহ-সভাপতি এসএম মান্নান কচি বলেন, “তদন্তের সব কাজ শেষ হয়েছে। শুধু প্রতিবেদনটি সাজিয়ে লেখার কাজটুকু বাকি আছে। আশা করি আগামীকালের (সোমবার) মধ্যেই আমরা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারবো।”
তিনি আরো বলেন, “পুরু তদন্তে আমরা নিরপেক্ষ থেকেছি। প্রকৃত দোষীদের খুজেঁ বের করার চেষ্টা করেছি।”
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিজিএমইএ তদন্ত দলের এক সদস্য বলেন, “কারখানাটি নির্মাণে যথেষ্ট ত্রুটি রয়েছে। কারখানা থেকে বের হওয়ার ফটকে কাপড়ের স্তুপ ছিল। অগ্নিকাণ্ডের সময় গেট তালাবন্ধ ছিল।”
তিনি আরো বলেন, “কারখানাটির বয়লার, জেনারেটর যে সব জায়গায় স্থাপন করা হয়েছে নিয়ম অনুযায়ী, সেসব জায়গায় স্থাপন করার কথা নয়। যেখান থেকে আগুণের সূত্রপাত হয়েছে সেখানে আগুণ লাগার মতো কোন উৎস খুজেঁ পাওয়া যায়নি।”
প্রসঙ্গত, ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরের মনোসন্তোষপুর এলাকার তোবা গ্রুপের তাজরিন ফ্যাশনস গার্মেন্টসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে পরদিন রোববার বিকেল চারটা পর্যন্ত ১১১টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। আহত হয় আরো দু’শতাধিক শ্রমিক। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে ২৬ নভেম্বর বিজিএমইএ সহ-সভাপতি এসএম মান্নান কচিকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি করে বিজিএমইএ। এ কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত তারিখ ছিল ২ ডিসেম্বর।
নিউজরুম