রুপসীবাংআ, ঢাকা (০১ ডিসেম্বর) :আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হওয়া তাজরীন ফ্যাশনস লিমিটেড পোশাক কারখানাটির ব্যাংকেদেনার পরিমাণ ৭০ কোটি টাকা।
প্রকল্প ঋণ হিসেবে বিভিন্ন সময়ব্যাংকগুলো থেকে এ পরিমাণ অর্থ নিয়েছেন কারখানাটির মালিক দেলোয়ার হোসেন।পাশাপাশি এই প্রতিষ্ঠানের কাছে লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) দায় হিসেবে ব্যাংকপাবে আরো প্রায় ৪০ কোটি টাকা। তবে তাজরীন ফ্যাশনের মূল কোম্পানি তোবাগ্রুপের কাছে ব্যাংকগুলোর সম্মিলিত পাওনা হবে প্রায় ২০০ কোটি টাকা।
জানা গেছে, প্রাইম ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক এবং এক্সিম ব্যাংকের কাছ থেকে তিনি এ অর্থ নেন। তবে তিনি ঋণ খেলাপী নন।
বাংলাদেশব্যাংক, তোবা গ্রুপের ব্যাংকিং লেনদেন পরিচালনাকারী ব্যাংক ও আর্থিকপ্রতিষ্ঠান এবং তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সাথে কথা বলেএমন তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর আশুলিয়ায়অবস্থিত বিভিন্ন শাখা, মতিঝিলের ফরেন এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং প্রাইম ব্যাংকেরগুলশান শাখাতেই মূলত তাজরীন ফ্যাশনের নামে দায় আছে।
তবে ২৮ নভেম্বরবিজিএমইএ ভবনে তাজরীন ফ্যাশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মালিক দেলোয়ার হোসেনবাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিবেদককে জানান, তার কোন প্রকল্প ঋণ নেই।ব্যাংকগুলোর কাছে তার দায় মূলত এলসির মাধ্যমেই। কিন্তু এর পরিমাণ কতো তাতিনি বাংলানিউজের কাছে স্পষ্ট করেননি।
ঋণ থেকে বাঁচতে তাজরীনে আগুনলাগানো হয়েছে কিনা বাংলানিউজের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “কোন ঋণ থেকেবাঁচতে এটি করব। আমার কোন প্রকল্প ঋণ নেই। যা রয়েছে তা এলসির মাধ্যমে।সেটিও খুব বেশি নয়।”
অনুসন্ধান করে জানা গেছে, প্রাইম ব্যাংক মূলততোবা গ্রুপের করপোরেট ব্যাংক। এই ব্যাংকের মাধ্যমেই মূলত তোবা গ্রুপ তারব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। গুলশান শাখার কাছে প্রতিষ্ঠানেরঋণের দায় প্রায় ৭০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র তাজরীনের নামেএই ঋণের তথ্য নিশ্চিত করেছে।
অন্যদিকে, প্রাইম ব্যাংকসহ যমুনাব্যাংক এবং এক্সিম ব্যাংকের কাছে এর এলসির দায় ১৩৫ কোটি টাকার মতো। তবেএলসির প্রকৃত দায় কোন ব্যাংকের কাছে কত তা জানা সম্ভব হয়নি।
তাজরীনেআগুন লাগার ঘটনায় বিজিএমইএর গঠিত তদন্ত কমিটির একটি সূত্র জানায়, ওই প্রতিষ্ঠানের নামে প্রাথমিকভাবে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ঋণের কথাজানা গেছে, এটি নিয়ে এখনও তদন্ত করছে বিজেএমইএ। এ ব্যাপারে খুব শীঘ্রইবিস্তারিত তথ্য জানা সম্ভব হবে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।তবে দেলোয়ার হোসেন দাবি করেছেন, তাজরীন ফ্যাশনস পুড়ে যাওয়ার কারণে তার ক্ষতি হয়েছে ২০০ কোটি টাকা।
জানাগেছে, তাজরীনের নামে কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্সে বীমা করা আছে ১৮ কোটি টাকার।তাজরীনের পক্ষে বীমার দাবি চেয়ে ইতোমধ্যেই লিখিত ভাবে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
নিউজরুম