রুপসীবাংলা, ঢাকা (০১ ডিসেম্বর) :বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে গরু পাচারকে বৈধ ব্যবসাহিসেবে স্বীকৃতি দিতে বলেছেন ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) প্রধানইউ কে বনসাল। বৈধতা দেওয়ার মাধ্যমে কার্যকরভাবে গরু পাচারকে নিয়ন্ত্রণ করাযাবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার বিএসএফের বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশেরঅর্থনৈতিক বাস্তবতার প্রেক্ষিতে অবৈধ গরু ব্যবসাকে বৈধতা দেওয়াউচিত-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে বনসাল বলেন, “আমাদের সবাইকে বিষয়টিগুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে হবে। এটা এমন এক সমস্যা যা নীতির মাধ্যমে সমাধান করাযায় না।”
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে দায়িত্বরত এক বিএসএফ কর্মকর্তাবলেন, “সমস্যা হচ্ছে, এই ব্যবসাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা অর্থনীতির কারণেইএটা (গরু পাচার) বন্ধ হবে না। প্রতিবছর ভারত থেকে প্রায় সাত লাখ গরু পাচারহয়।” গ্রেফতার হওয়া গরুর পাচারকারীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ সংখ্যাজানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
মাত্র ৫০০ রুপির বিনিময়ে গরু পাচার করতেগিয়ে নিজের জীবন হারায় অনেক বাংলাদেশি। প্রধানত মাংসের জন্য গরু পাচার করাহয়। বাংলাদেশে গরুর মাংসের বাজার দুই হাজার কোটি রুপির। এই বিশাল বাজারেরকারণে গরু পাচারকে রোধ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশি নাগরিকেরনিহতের সংখ্যা কমিয়ে আনতে ২০১০ সালে বিএসএফকে প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্রব্যবহার করতে নির্দেশ দেয় ভারত সরকার। কিন্তু পাচারকারীদের হামলার কারণেসরকারি নির্দেশ মানা থেকে সরে আসে বিএসএফ। গত তিন বছরে সীমান্তে বাংলাদেশিনাগরিকের নিহত হওয়ার সংখ্যা ৬০ শতাংশের বেশি কমেছে, অন্যদিকে বিএসএফসদস্যদের ওপর হামলা বেড়েছে ১০০ শতাংশের বেশি।
গরু পাচার ইস্যু নিয়েভারত ও বাংলাদেশ কখনও চুক্তিতে আসতে পারেনি। চুক্তি না হওয়ার অন্যান্যকারণগুলোর মধ্যে একটি ছিল বাংলাদেশ এটিকে পাচার হিসেবে বিবেচনা করতে রাজিহয়। বাংলাদেশ এটিকে গরু বাণিজ্য বলে দাবি করে।
নিউজরুম