ঢাকা (৩০ ডিসেম্বর) : বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ৪.৮৪ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। তবে পিডিবি ১২ শতাংশ বাড়াতে চেয়েছিল। রোববার দুপুরে বিইআরসি কার্যালয়ে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম গণশুনানিতে ৪.৮৪ শতাংশ বাড়ানোর পক্ষে মতামত দেয় বিইআরসির মূল্যায়ন কমিটি। পিডিবি তার প্রস্তাবে বলেন, ১২ শতাংশ দাম না বাড়ালে তাদের চলতি অর্থবছরে ক্ষতি হবে ৫১৭ কোটি টাকা।
গণশুনানিতে অংশ নিয়ে ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, “এভাবে দফায় দফায় দাম বাড়ালে জনগণ বিদ্যুৎবিল জমা দেওয়া বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে।” গণশুনানি অংশ নেন বিইআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী ইমদাদুল হক, কমিশনের সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ ও দেলোয়ার হোসেন।
পিডিবির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বর পরবর্তী প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম (গড়) ৬ টাকা করে আদায় হচ্ছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ খরচ পড়ছে ৬.৭২ টাকা। ফলে প্রতি ইউনিটে তাদের ঘাটতি থাকছে ৭২ পয়সা। এতে তাদের ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৫১৭ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, ২ ডিসেম্বর খুচরা বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব দেয় পিডিবি। প্রকৌশলী ইমদাদুল বলেন, “আমরা গত বৃহস্পতিবার আরইবির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব বিষয়ে গণশুনানি করেছি।” রোববার দুপুরে পিডিবি ও বিকেলেই ওয়েস্ট জোন পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজিপাডিকো) গণশুনানি হবে। বর্তমান সরকারের আমলে বিদ্যুতের দাম এরই মধ্যে সাতবার বাড়ানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে খুচরা ১৫ শতাংশও পাইকারি ১৭ শতাংশ দাম বাড়ায় বিইআরসি।