আকবর আলি খান সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী যিনি ব্যর্থ, তাঁর ফর্মুলা দেওয়ার অধিকার নেই

0
115
Print Friendly, PDF & Email

ঢাকা (৩০ ডিসেম্বর) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আকবর আলি খানকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, যিনি একটি নির্বাচন করতে ব্যর্থ হয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকার বিষয়ে তাঁর কোনো ফর্মুলা দেওয়ার অধিকার নেই। খবর ইউএনবির।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ফর্মুলা নিয়ে এখন অনেকেই অনেক রকম মন্তব্য করছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক একজন উপদেষ্টাও এ রকম ফর্মুলা দিয়েছেন। অথচ এই ব্যক্তি সাবেক রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের সময়ে একজন উপদেষ্টা ছিলেন। তখন তিনি নির্বাচন করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
আজ রোববার গণভবনে কাউন্সিলর ও দেশের বিভিন্ন জেলার দলীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সেখানে শেখ হাসিনা বলেন, একজন ব্যর্থ মানুষের দেওয়া ফর্মুলার কোনো কার্যকারিতা নেই।
এর আগে গত শনিবার এক অনুষ্ঠানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আকবর আলি খান অন্তর্বর্তী সরকারের বিষয়ে চারটি প্রস্তাব দেন। এক প্রস্তাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বিএনপির ৩৬ জন আইনপ্রণেতার মধ্য থেকে পাঁচজনকে বাছাই করতে পারে। আর বিএনপি প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের ২৭৪ জন সাংসদের মধ্য থেকে পাঁচজনকে বাছাই করতে পারে। তাঁদের নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের মন্ত্রিসভা গঠিত হতে পারে।
আকবর আলি খানের দ্বিতীয় প্রস্তাবটি ছিল, রাষ্ট্রপতি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সুপ্রিম কোর্টকে পরামর্শ দিতে পারেন, যেমনটা ১৯৯৬ সালে করা হয়েছিল। তৃতীয় প্রস্তাবটি ছিল, বিএনপি ও আওয়ামী লীগ ১০ জন নিরপেক্ষ লোকের নাম দিতে পারে। এরপর তাদের দেওয়া নামগুলো থেকে জাতীয় সংসদ পাঁচজনকে নির্বাচন করতে পারে। তাঁরা সবাই মিলে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন করতে পারেন, অথবা লটারির মাধ্যমেও প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচিত হতে পারেন।
আকবর আলি খানের চতুর্থ প্রস্তাবটি ছিল, আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে বিএনপি একটি পরিকল্পনা দিতে পারে। এরপর বিএনপির ওই প্রস্তাবের ওপর গণভোট হতে পারে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের নেতা-কর্মীদের নিজ নিজ এলাকায় উন্নয়ন তত্পরতা আরও বাড়ানোর পরামর্শ দেন। তিনি তৃণমূল পর্যায়ে দলকে আরও শক্তিশালী করার আহ্বান জানান। তিনি প্রতিটি জেলায় দলের একটি নিজস্ব কার্যালয় থাকা দরকার বলেও মন্তব্য করেন। পরে জেলা থেকে আসা দলের প্রতিনিধি ও কাউন্সিলররা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। প্রধানমন্ত্রীও তাঁদের মিষ্টি ও হালকা নাশতা দিয়ে আপ্যায়ন করেন।

নিউজরুম

 

শেয়ার করুন