কৃষি ডেস্ক(৩০ডিসেম্বর):অর্থনৈতিক রিপোর্টার: শুধু দেশের বাজারে পাটজাত পণ্য ব্যবহারে বাধ্য করা হলে ৮৪ কোটি পাটজাত দ্রব্যের প্রয়োজন হবে। পলিথিনের বিকল্প হিসেবে পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহারই পাট শিল্পকে আগের অবস্থায় ফিরে নেয়া সম্ভব বলে মত দিলেন সেমিনারে বক্তারা। শনিবার রাজধানী সিরডাপ মিলনায়তনে পাট ও পাটশিল্প রক্ষা কমিটি এবং একশন এইড বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বাংলাদেশের পাট খাত ও রাষ্ট্রায়ত্ত পাটশিল্পের বর্তমান অবস্থা এবং আমাদের করণীয়’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। সেমিনার প্যানেল আলোচক হিসেবে আলোচনা রাখেন– বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের ডেপুটি ডিরেক্টর সুলতান উদ্দিন আহমেদ, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)র সিনিয়র রিসার্চ ফলো গোলাম মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ। এছাড়া সেমিনারে বক্তব্য দেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি মো. ফজলুল কবির। সেমিনারে অধিকাংশ বক্তা পাটশিল্পের বর্তমান বেহাল দশার জন্য সরকারের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে কোন সরকারই ক্ষমতায় এসে পাটশিল্পকে আধুনিকায়নে চেষ্টা করেনি। অথচ এ শিল্পই ছিল এক সময় দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ছিল এক নম্বরে। বক্তারা বলেন, লোকসানের অজুহাতে ২০০৬–০৭ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার বেশ কিছু মাঝারি ধরনের পাটকল ইজারার মাধ্যমে চালানোর চেষ্টা করে, যেগুলো মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তিকে সুবিধা দেয়া ছাড়া অন্য কোন ফল বয়ে আনেনি জাতির জন্য। তারা বলেন, যখন বিশ্ববাজারে পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহার বাড়ছে। তখন আমাদের দেশে পাটকল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, যা একটি দেশের শিল্পের জন্য শুভলক্ষণ নয়। বক্তারা বলেন, ভবিষ্যৎ চিন্তা করেই পাটশিল্প নিয়ে নতুন করে আমাদের ভাবতে হবে। পাটশিল্পকে রক্ষা করতে হলে পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহার বাড়ানোর প্রতি জোর দিতে হবে। পাটজাত দ্রব্য নিয়ে বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা করতে হবে। অন্যদিকে দেশে ব্যবহার্য পরিবেশ বিনষ্টকারী পলিথিনের ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে। মো. ফজলুল কবির বলেন, ২৪টি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২১কল চালু আছে। পাটশিল্পের বর্তমান অবস্থার জন্য কিছুটা শ্রমিক ইউনিয়নগুলোকে দায়ী করে বলেন, অনেকে শ্রমিক ইউনিয়ন করেন বলে ঠিকমত কাজ না করে বেতন বোনাস উঠিয়ে নেন। যার দরুন প্রতিবছর এ শিল্পে সরকার কোটি কোটি টাকা লোকসান দিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া সেই মান্ধাতার আমলে মেশিনারিজ দিয়ে এখনও কাজ করতে হচ্ছে।
নিউজরুম