বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক(৩০ডিসেম্বর):জনসংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশ চীন। ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত হওয়ার পর থেকেই দেশটিতে গ্রেট ফায়ারওয়াল নামে নজরদারিপদ্ধতির উন্নয়ন ঘটানো হয়। বর্তমানে চীনের প্রায় ৫০ কোটি মানুষ ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত। দেশটিতে স্পর্শকাতর আইপি অ্যাড্রেস ও সাইটগুলোয় প্রবেশ বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে চীনে বিতর্কিত যেকোনো অনলাইন পোস্ট তৎণাৎ মুছে দেয়া হয়। কিছু কিছু শব্দের ব্যবহারও সেখানে নিষিদ্ধ। চীনের সরকার ইন্টারনেট নজরদারির জন্য বর্তমানে চালু থাকা গ্রেট ফায়ারওয়ালের আরো উন্নয়ন ঘটিয়েছে। এতে চীনের বিদেশী ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠানগুলো বিপাকে পড়েছে। অনলাইনে তথ্য ও যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে জটিলতম নজরদারিপদ্ধতি ব্যবহার শুরু করেছে সমাজতান্ত্রিক চীন সরকার। এর মূল উদ্দেশ্য চীনের নাগরিকদের বহির্বিশ্বের আন্দোলন থেকে বিরত রাখা। সম্প্রতি এ নজরদারির আওতায় আনা হয় ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ককেও (ভিপিএন)। এ ধরনের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে চীনে প্রবেশ নিষিদ্ধ ফেসবুক ও টুইটারের মতো সাইটগুলো ব্যবহার করতে পারেবেন না গ্রাহকেরা। এতে বিকল্প উপায়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ সাইটগুলোর ব্যবহার থমকে গেছে চীনে। যদিও ভিপিএনের মাধ্যমে কিছু প্রতিষ্ঠান আগে নিজেদের মধ্যে নিরাপদ লেনদেন ও যোগাযোগ করতে সম ছিল। তবে বর্তমানে গ্রেট ফায়ারওয়াল (জিএফডব্লিউ) নামে পরিচিত চীনা নজরদারিপদ্ধতি এ কৌশলকেও ঠেকিয়ে দিচ্ছে। নতুন এ প্রযুক্তির মাধ্যমে জিএফডব্লিউ নিজেই ভিপিএন খুঁজে বের করবে এবং সেটা বন্ধ করে দেবে। চীনের সাথে যোগাযোগ রক্ষাকারী বিদেশী ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠানগুলো অভিযোগ করেছে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগে ব্যর্থ হচ্ছেন তারা। এর ফলে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক বিভিন্ন যোগাযোগও থমকে গেছে। ভিপিএনের মাধ্যমে তারা গুগল ড্রাইভে একই ডকুমেন্টে একই সাথে অনেকে কাজ করতে পারতেন। নতুন নজরদারির কারণে এ পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারছেন না গ্রাহকেরা। বর্তমানে সাময়িকভাবে এ ধরনের সাইটগুলোয় প্রবেশ করা সম্ভব হলেও এর তথ্যপ্রবাহের গতি খুবই কম। এ বিষয়ে চীনের শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘পর্নোগ্রাফি, অযাচিত তথ্য এবং শিশুদের অধিকার রাই নতুন এ কড়াকড়ি আরোপের মূল কারণ। ইন্টারনেটের কারণে সম্প্রতি অনেক সমস্যা হওয়ায় চীন সরকার ইন্টারনেটকে নিয়ন্ত্রণ করছে।’
নিউজরুম