ভোটের অধিকার নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না : প্রধানমন্ত্রী

0
518
Print Friendly, PDF & Email

রুপসীবাংলা ডেস্ক (২৯ ডিসেম্বর) : আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও বলেছেন,  দেশে কিছু মানুষ আছে যাদের ক্ষমতায় যাওয়ার বড় সাধ, কিন্তু তারা মানুষের সামনে দাঁড়াতে পারেনা। মানুষের কাছে যেতে পারেনা। তারা অন্ধকার অলি গলি আর চোরাপথে ক্ষমতায় আসতে চা্য়। ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা দারিদ্র মুক্ত দেশ গড়ে তোলার হবে বলে দেশের মানুষের কাছে তার সরকার প্রতিশ্রুতি বদ্ধ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ১৯তম জাতীয় সম্মেলনে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ যখনই নৌকায় ভোট দিয়েছে তখন শিক্ষা স্বাস্থ্য চিকিৎসাসহ সমস্ত মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। আগামী নির্বাচনে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে বা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোটকে যে রায় দেবে আমরা তা মাথা পেতে নেবো।

ভোটের অধিকার নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যারা খুনীদের মদদ দিয়েছে, যুদ্ধাপরাধীদের হাতে পতাকা তুলে দিয়েছে। দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে। একইভাবে জঙ্গি ও সাম্প্রদায়িকভাবে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। জনগণ তাদের চায় না।

নেতাকর্মীদের এ বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে উল্লেখ করে জনগণকে নিয়ে গণ প্রতিরোধ গড়ে তোলার কথাও বলেন তিনি।

দুপুর ১২টা ৩৪ মিনিটে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় কাউন্সিলের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এর আগে ১১টা ২৮ মিনিটে তিনি সম্মেলন মঞ্চে এসে পৌঁছান।

এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক এবং আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠায় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীসহ যারা অবদান রাখেন, তাদের সবার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

তিনি ভাষা আন্দোলনসহ স্বাধীনতা যুদ্ধে সব শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

উদ্বোধনী ঘোষণায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, “আওয়ামী লীগের এই কাউন্সিল শুধু নিয়ম রক্ষার কাউন্সিল নয়। এ কাউন্সিলের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে আরও সুদৃঢ় করা হবে এবং নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হবে।”

তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এদেশে অর্থনৈতিক-সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক মুক্তি এসেছে। আওয়ামী লীগ অসাম্প্রদায়িক ও জনগণের অধিকার আদায়ের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। এ রাজনীতি করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। আগামীতে মানুষের অধিকার আদায়ের রাজনীতি অব্যাহত রাখা হবে।

উদ্বোধন ঘোষণার পর পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, গীতা, ত্রিপিটক ও বাইবেল পাঠ করা হয়। এর পর শোক প্রস্তাব উথাপন করেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খান।

শোকপ্রস্তাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবসহ ১৫ আগস্টে নিহতসহ বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগ করতে গিয়ে নিহত হওয়া ২১ হাজার নেতাকর্মী, বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় থাকাকালে আওয়ামী লীগের ২১ আগস্টে নিহত আইভী রহমানসহ নিহত ব্যক্তিবর্গ, স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ, বিগত কাউন্সিল পরবর্তী সময়ে দেশে বিদেশে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহত হওয়া এবং একই সময়ে মারা যাওয়া দেশি-বিদেশি বিশিষ্টজনদের রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়।

এসময় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়। এছাড়া তাদের স্মরণে শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়।

শোকপ্রস্তাবের পর বক্তব্য রাখবেন সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। এর পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বক্তব্য রাখবেন। বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের এ কাউন্সিল শুরু হয়। এ সময় সৈয়দ আশরাফের নেতৃত্বে দলীয় পতাকা উত্তেলন করেন আওয়ামী লীগের ৭৩টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।

এর পর বেলা ১১টা ৩৪ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে কাউন্সিলের কার্যক্রম শুরু করেন। এ সময় দলীয় সঙ্গীত, গণসঙ্গীত ও বিজয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।

নিউজরুম

শেয়ার করুন