ঢাকা (২৯ ডিসেম্বর) : ভারতের রাজধানী দিল্লিতে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের শিকার মেডিকেল শিক্ষার্থী টানা ১২ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পর অবশেষে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. কেলভিন ল জানান, শনিবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ৪৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় পৌনে ৩টা) বর্বরতম নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী মারা যান। এসময় তার পরিবার ও ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তারা হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও জানান, তার শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাজ না করায় তার মৃত্যু ঘটেছে।
শুক্রবার দুপুরে এক বিবৃতিতে তার শারীরিক অবস্থা ‘খুবই সঙ্কটাপন্ন’ বলে হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল।
এর আগে দিল্লির হাসপাতালে তিনটি অস্ত্রোপচারের পর উন্নত চিকিৎসার জন্য বুধবার রাতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ওই তরুণীকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে সিঙ্গাপুরে নেওয়ার পর পরীক্ষা করে দেখা যায়, তার দুটি হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। এছাড়া ফুসফুস ও পেটে সংক্রমণ এবং মস্তিষ্কেও আঘাত ।
গত ১৬ ডিসেম্বর পাবলিক ট্রান্সপোর্টে ভ্রমণরত ২৩ বছর বয়সী ওই ডেন্টাল ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে বাসের চালকসহ ৬ দুর্বৃত্ত। এ সময় সঙ্গে থাকা ওই তরুণীর বন্ধুকে প্রচণ্ড মারধর করে অজ্ঞান করে ফেলে দুর্বৃত্তরা। পরে তাদের দু’জনকে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত সবাইকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় রাজধানী নয়াদিল্লিসহ সর্বত্র ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
ভয়াবহ গণধর্ষণের শিকার হয়ে শারীরিক ও মানসিক ক্ষতের প্রচণ্ডতায় ওই নারী কোমায় চলে গিয়েছিলেন। তাকে প্রথমে দিল্লির সফদর জং হাসপাতালের আইসিইউ কেবিনে ভর্তি করে বাঁচিয়ে তোলার চেষ্টা চালান চিকিৎসকরা।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের নেতৃত্বাধীন সরকার ওই তরুণীর উন্নত চিকিৎসার জন্য নিজে উদ্যোগ নিয়ে তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
নিউজরুম