বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক(২৮ডিসেম্বর): ২০০৮ সালে দেশে চালু মুঠোফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল চার কোটি ৪৬ লাখ। এখন এর সংখ্যা নয় কোটি ৫১ লাখ। এ সময় ফেসবুক অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ৯৬ হাজার থেকে বেড়ে হয়েছে ৩০ লাখ। কম্পিউটার বিক্রির বছরওয়ারি সংখ্যা এক লাখ ৮০ হাজার থেকে উঠেছে সাড়ে চার লাখে। মুঠোফোনে সারা যায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ঝক্কি ও লেনদেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের চার বছর: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক এক সেমিনারে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে এসব অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরা হয়। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পাঁচ দিনব্যাপী কম্পিউটার মেলা ‘বিসিএস আইসিটি ওয়ার্ল্ড ২০১২’ উপলক্ষে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। ‘দিনবদলের দীক্ষা, প্রযুক্তি আর শিক্ষা’ স্লোগানে এ মেলার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস)।
প্রযুক্তি ব্যবহারের হার বাড়ার চমকপ্রদ পরিসংখ্যান দেওয়ার পাশাপাশি সেমিনারে এটাও মনে করিয়ে দেওয়া হয় যে কেবল প্রযুক্তির সংখ্যাগত বৃদ্ধি মানেই ডিজিটাল বাংলাদেশ নয়। এর মূল লক্ষ্য এমন এক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা, যেখানে অর্থনীতির চালিকাশক্তি হবে উন্নত প্রযুক্তি এবং উচ্চতর প্রবৃদ্ধি। সেই বাংলাদেশে দারিদ্র্য নেমে আসবে ন্যূনতম পর্যায়ে, ব্যাপকভাবে বিকশিত হবে মানুষের সৃজনশীলতা, প্রতিষ্ঠিত হবে সামাজিক ন্যায়বিচার।
সেমিনারের প্র্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসনবিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেন, ‘আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মূল লক্ষ্য সেবাগুলোকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া। রাষ্ট্র সাংবিধানিককভাবেই জনগণকে এসব সেবা দিতে বাধ্য। প্রযুক্তি এসব সেবা দেবে দ্রুত এবং স্বল্প ব্যয়ে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পড়েন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন পরামর্শক মুনির হাসান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিসিএসের পরিচালক তথ্যপ্রযুক্তিব্যক্তিত্ব মোস্তাফা জব্বার। সেমিনারে আরও আলোচনা করেন ব্যবসায়ী নেতা ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিজনেস কাউন্সিলের সমন্বয়ক খায়রুজ্জামান মজুমদার প্রমুখ।
নিউজরুম