চট্টগ্রাম (২৭ ডিসেম্বর) : নগরীর বহদ্দারহাটে সিডিএ`র নির্মাণাধীণ ফ্লাইওভারের বাকি কাজ শেষ করার দায়িত্ব নিচ্ছে সেনাবাহিনী। খুব শিঘ্রই সেনাবাহিনী এ কার্যক্রম শুরু করবে।
ফ্লাইওভারের তিনটি গার্ডার ধসে হতাহতের পর সার্বিক পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীকে সার্বিক কার্যক্রম তদারকিসহ পুরো কাজ শেষ করার এ দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
কাজ শুরুর প্রাক প্রক্রিয়া হিসেবে বৃহস্পতিবার দুপুরে সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের একটি টিম ফ্লাইওভার পরিদর্শন করেছেন। এসময় তাদের সঙ্গে সিডিএ`র প্রধান প্রকৌশলী নাছির উদ্দিন মাহমুদসহ আরও কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
নাছির উদ্দিন মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, `আমরা সিডিএ`র পক্ষ থেকে সেনাবাহিনীকে ফ্লাইওভার নির্মাণের বাকি কাজ সম্পন্ন করার দায়িত্ব দেবার প্রস্তাব করে একটি চিঠি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলাম। মন্ত্রণালয় এ প্রস্তাব অনুমোদন দিয়ে সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরে পাঠায়। এরপর সেনাবাহিনী কাজ শুরুর প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু করেছে।`
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের মেজর মংয়ের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি টিম ফ্লাইওভার পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে তারা সিডিএ`র কর্মকর্তাদের কাছে ঠিকাদার নিয়োগ প্রক্রিয়া, কার্যাদেশের কপিসহ বিভিন্ন দলিল-দস্তাবেজ এবং সামগ্রিক তথ্য চেয়েছেন।
নাছির উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, `আমরা নথিপত্রগুলো তাদের হস্তান্তরের পর তারা কাজ শুরুর বিষয়ে আমাদের জানাবেন। এর আগে তাদের সঙ্গে আরও কয়েকটি বৈঠক হবে।`
উল্লেখ্য বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১০ সালের জানুয়ারিতে এ ফ্লাইওভারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১১ সালের মার্চে ফ্লাইওভারের কাজ শুরু হয়।
ফ্লাইওভার নির্মাণের কার্যাদেশ পান পারিশা-মীর আক্তার (জেভি) কনস্ট্রাকশন নামে দু`টি প্রতিষ্ঠান।
এরপর গত ২৪ নভেম্বর নগরীর বহদ্দারহাট সংলগ্ন শাহ আমানত সেতু সংযোগ সড়কের বহদ্দার পুকুর পাড় এলাকায় নির্মাণাধীন ওই ফ্লাইওভারের তিনটি গার্ডার ধসে ১৫ জন নিহত এবং কমপক্ষে ৩০ জন আহতের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর ফ্লাইওভার প্রকল্প বাস্তবায়নে সিডিএ এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। সিডিএ`র প্রকল্প পরিচালককে বরখাস্ত করা হয়। পরে তাকে মামলার আসামী করা হয়।
এ অবস্থায় সিডিএ`র প্রকল্প পরিচালক হতে আর কেউ আগ্রহী না হওয়ায় গত একমাস ধরে পদটি খালি পড়ে আছে। আর ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজও দুর্ঘটনার পর থেকে মুখ থুবড়ে পড়েছে।
নিউজরুম