ব্যবসা ও অর্থনীতিডেস্ক(২৭ ডিসেম্বর): বিশ্বের ১৪০টি দেশের মধ্যে বৈশ্বিক যোগাযোগ সামর্থ্য সূচকে (গ্লোবালকানেকটেডনেস ইনডেক্স-জিসিআই) বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৯১তম। আর দক্ষিণ ওমধ্য এশিয়ার ১২টি দেশের মধ্যে অবস্থান ষষ্ঠ।
বিশ্বখ্যাত দলিলাদি ওপণ্যসামগ্রী স্থানান্তরকারী প্রতিষ্ঠান ডিএইচএল এ জিসিআই প্রস্তুত করেথাকে। বিশ্বায়ন প্রক্রিয়ার একটি সামগ্রিক বিশ্লেষণ হিসেবে তৈরি এ সূচকটিগতকাল বুধবার প্রকাশ করা হয়েছে।
বিশ্বের ১৪০টি দেশের আন্তর্জাতিকবাণিজ্যপ্রবাহ, মূলধন, তথ্যপ্রবাহ এবং মানবসম্পদের ওপর ভিত্তি করেপ্রতিবেদনটি তৈরি করেছে ডিএইচএল। ২০১১ সালে বৈশ্বিক যোগাযোগ সামর্থ্য সূচকেবাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৯৭। অর্থাৎ এ বছর ছয় ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ।
ডিএইচএলের প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বিশ্বায়নের বৃদ্ধির গতি এখনো ধীর।
এইসূচকে শীর্ষে আছে নেদারল্যান্ডস। দ্বিতীয় স্থান সিঙ্গাপুরের। আর তৃতীয়স্থান নিয়েছে আয়ারল্যান্ড। তালিকার চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে যথাক্রমে আছেসুইজারল্যান্ড ও লুক্সেমবার্গ। এরপর যুক্তরাজ্য, সুইডেন ও বেলজিয়াম আছেযথাক্রমে ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম স্থানে। নবম ও দশম স্থানে আছে যথাক্রমে হংকং ওমালটা।
বিভিন্ন দেশের যোগাযোগ সামর্থ্যের গভীরতা এবং ব্যাপকতার নিরিখে এসূচক তৈরি করা হয়। যোগাযোগ সামর্থ্যের গভীরতা বলতে বোঝায় কোনো একটিকর্মকাণ্ডের ব্যাপ্তি কতটুকু আন্তর্জাতিকতাসম্পন্ন। আর কোনো একটি কর্মকাণ্ডআন্তর্জাতিকভাবে কতগুলো দেশে পরিব্যাপ্তি লাভ করে তার ওপর নির্ভর করেব্যাপকতা। ব্যাপকতা এখানে গভীরতার পরিপূরক।
ডিএইচএলের প্রতিবেদনে বলাহয়, আন্তঃ আঞ্চলিক সমন্বয়ে ঘাটতির কারণে ১৪০টি দেশের মধ্যে ব্যাপকতায়বাংলাদেশের স্থান ৩৩তম হলেও গভীরতার ক্ষেত্রে এ দেশের অবস্থান ১৩৪।
তবেগত কয়েক বছরে বাণিজ্যিক মানদণ্ডের গভীরতার উন্নয়নের ফলে ২০০৫ থেকে ২০১১সালের মধ্যে বাংলাদেশের যোগাযোগ সামর্থ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বাণিজ্যিকমানদণ্ড অনুযায়ী, যোগাযোগ সামর্থ্যের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৬৩তম।আর সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে তৃতীয়। বাংলাদেশের আগে আছে শুধু ভারত ওশ্রীলঙ্কা।
যোগাযোগ সামর্থ্য কমছে: প্রতিবেদনটি তৈরির সময় ২০০৫ থেকে২০১১ সাল পর্যন্ত ১০ লাখের বেশি ডেটা পয়েন্ট সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণ করাহয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, ২০০৭ সালের তুলনায়বর্তমান পৃথিবী তুলনামূলকভাবে কম সংযুক্ত।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যপ্রবাহ, মূলধন, তথ্যপ্রবাহ এবং মানবসম্পদের ওপর ভিত্তিকরে ২০০৫ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত যোগাযোগ সামর্থ্য বেশ দ্রুত বেড়েছিল।পরবর্তী সময়ে অর্থনৈতিক মন্দার কারণে এ সামর্থ্য আশঙ্কাজনকভাবে কমতে থাকে।২০০৯ সালে যোগাযোগ সামর্থ্য উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ার পরও তা আশানুরূপঅবস্থানে ধরে রাখা যায়নি।
ডিএইচএলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)ফ্র্যাঙ্ক অ্যাপেল বলেন, অর্থনৈতিক মন্দা যে বিশ্বব্যাপী অস্থিতিশীলব্যবসায়িক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে, তা বৈশ্বিক যোগাযোগ সামর্থ্য সূচক ২০১২-এরমাধ্যমে বেশভাবে জানা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, এ ধীর উন্নয়নের সময়বিশ্বায়ন পৃথিবীর নাগরিকদের জন্য বিপুল সুবিধা সৃষ্টি করেছে এবং অর্থনৈতিকউন্নয়নের জন্য এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
নিউজরুম