আর্ন্তজাতিক ডেস্ক(২৬ডিসেম্বর): যুক্তরাষ্ট্রে নিরাপত্তার জন্য প্রত্যেক নাগরিক নিজের সঙ্গে অস্ত্র রাখতেপারেন। তবে এই অস্ত্র নিরাপত্তার চেয়ে বিপদ ঘটায় বেশি। নিজের নিরাপত্তারকথা বলে অস্ত্র রাখা হলেও আদৌ তা নিরাপত্তার জন্য ব্যবহার করা হয় না।নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে আসে। সম্প্রতি ওই তথ্য আরওপ্রাসঙ্গিক বলে মনে করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কানেটিকাটে ১৪ ডিসেম্বরঅ্যাডাম ল্যানজা নামের এক ব্যক্তি স্যান্ডি হুক এলিমেন্টারি স্কুলে ঢুকেগুলি চালিয়ে শিশুসহ ২৬ জনকে হত্যা করেন। পরে মাথায় গুলি চালিয়ে নিজেআত্মহত্যা করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে আইন করা নিয়ে বিতর্কশুরু হয়।
তবে যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণবিরোধী প্রভাবশালী অনেকগোষ্ঠী অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে আইন করার বিরুদ্ধে। এমন প্রভাবশালী গোষ্ঠীগুলোরমধ্যে অন্যতম ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশন (এনআরএ)। স্যান্ডি হুক স্কুলেএত বড় হত্যাযজ্ঞের পরও এনআরএ কৌশলে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে আইন করার বিরোধিতাকরে। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে এনআরএর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা লাপিয়েরবলেন, এ ধরনের ঘটনা এড়াতে বিদ্যালয়গুলোতে সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করা যেতেপারে। তিনি বলেন, বিশ্বের প্রতিটি সমাজে নাগরিক ও অপরাধী—দুই শ্রেণীর লোকআছে। সমাজের জন্য অপরাধীরা সব সময় হুমকি। নাগরিকেরা নিজের সঙ্গে অস্ত্র নারাখলে অপরাধীদের অস্ত্রের শিকার হতে পারেন।
অন্যদিকে মার্কিনপ্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ অনেকেই অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন করার পক্ষে। এই আইনকরা না-করা নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই গত শুক্রবার পেনসিলভানিয়ার প্রত্যন্তঅঞ্চলে বন্দুকধারীর গুলিতে চার ব্যক্তি নিহত হন। এরপর গত সোমবার একবন্দুকধারী ‘ফাঁদ পেতে’ দুই দমকল কর্মীকে গুলি করে হত্যার পর মাথায় গুলিকরে আত্মহত্যা করেন। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ১০০জনে ৮৯ জন নাগরিক সঙ্গে অস্ত্র রাখেন।
নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকেহার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথের একদল গবেষক জানান, আত্মরক্ষার জন্য যাঁরাঅস্ত্র রাখেন, তা আত্মরক্ষার কাজে ব্যবহারই করা হয় না বলা যায়। গবেষণায়তাঁরা নিরাপত্তার স্বার্থে অস্ত্র রাখেন—এমন অনেক ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নেন।কখনো অস্ত্র ব্যবহার করেননি, এমন ব্যক্তিরও সাক্ষাৎকার নেন গবেষকেরা।গবেষণায় দেখা যায়, আত্মরক্ষার কথা বলে নেওয়া অস্ত্র আত্মরক্ষার জন্য নয়, বরং হুমকি ও ভয় দেখানোর জন্যই ব্যবহার করা হয়। এ ধরনের অনেক অস্ত্রই অবৈধবা সমাজবিরোধী কাজে ব্যবহূত হতে পারে।
নিউজরুম