স্পোর্টস ডেস্ক(২৬ডিসেম্বর): বাংলাদেশের টেস্ট দলের তিনি তিন নম্বর ব্যাটসম্যান। কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে জায়গা পাননি প্রাইম ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চলের ১৫ সদস্যের দলে। কারণটা নিজেও বুঝতে পারছেন না, দল-সংশ্লিষ্ট কেউ তাঁকে জানানওনি। শাহরিয়ার নাফীসকে মনে হলো পুরোপুরিই বিভ্রান্ত
দলে নেই দেখে কতটা ধাক্কা খেয়েছেন?l
শাহরিয়ার নাফীস: ধাক্কা বলতে…আসলে আমি খুব কনফিউজড।
খবরটা জানলেন কীভাবে? দল থেকে কেউ যোগাযোগ করেছিল?l
শাহরিয়ার: না, কেউ যোগাযোগ করেনি। আমি জেনেছি পত্রিকা দেখে।
ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে এসে এমন একটা ব্যাপার নিশ্চয়ই দুঃখজনক?l
শাহরিয়ার: দুঃখ বা হতাশা কিছু তো থাকবেই। তবে সত্যি বলতে, এর চেয়ে বেশি আমি কনফিউজড।বুঝতে পারছি না, কী করা উচিত বা কার সঙ্গে কথা বলা উচিত। জাতীয় লিগ হলে যেমন আমি জানি কর্মকর্তা কারা বা বিপিএল হলে জানি কার সঙ্গে কথা বলতে হবে।কিন্তু এটা যেহেতু একটা নতুন ধারণা, নতুন টুর্নামেন্ট, এখানে কর্মকর্তা কারা বা কার কাছে আমি কারণটা জিজ্ঞেস করতে পারি, এসব কিছুই বুঝতে পারছি না।
১৫ জনের দলে আপনার নাম না দেখে অনেকে ভেবেছেন বোধহয় চোট-টোট আছে…l
শাহরিয়ার: নাহ্, ফিট আছি তো।
আপনার নিজের কী মনে হয়, কেন বাদ পড়তে পারেন?l
শাহরিয়ার: কোনো ধারণা নেই। আমি কিছুই জানি না। দল নির্বাচনের মানদণ্ড কী, আমি কেন বাদ পড়লাম, কী করা উচিত ছিল বা কী করলে থাকতে পারতাম…কিছুই বুঝতে পারছি না। দল-সংশ্লিষ্ট কেউ কোনো যোগাযোগও করেনি। ওই যে বললাম, কার সঙ্গে কথা বলব, সেটাই তো বুঝতে পারছি না। সুজন ভাই (খালেদ মাহমুদ) আছেন, উনি প্রাইম ব্যাংকের (দক্ষিণাঞ্চলের ফ্র্যাঞ্চাইজি) সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু এখন উনি বোর্ড কর্মকর্তা। তাই বুঝতে পারছি না কিছু জিজ্ঞেস করা উচিত হবে কি না।
বোর্ড থেকে বলা হচ্ছিল, জাতীয় লিগের পারফরম্যান্সকে প্রাধান্য দেওয়া হবে দল নির্বাচনে…l
শাহরিয়ার: দেখুন, জাতীয় লিগে এবার আমি মাত্র দুটি ম্যাচ খেলেছি। প্রথমটিতে খুলনার বিপক্ষে দুই ইনিংসে করেছিলাম ৬০ ও ১০, দ্বিতীয় ম্যাচে খারাপ আবহাওয়ার কারণে আমরা ব্যাটিংই করতে পারিনি। এরপর টেস্ট খেলতে চলে গেলাম। টেস্ট থেকে ফেরার পর জাতীয় লিগের দুটি ম্যাচ ছিল। কিন্তু আমার স্ত্রী খুব অসুস্থ থাকায় খেলতে পারিনি। এরপর আবার বিজয় দিবস ক্রিকেটে খেললাম, সেঞ্চুরিও করেছি। সেটা না হয় বাদ দিলাম। জাতীয় লিগে কার্যত দেখা যাচ্ছে, একটি ম্যাচ খেলে আমি একটি ফিফটি করেছি।
বাদ পড়তে পারেন, এমন কিছু তাহলে ভাবনাতেও ছিল না!l
শাহরিয়ার: আমি জানতাম, খুলনা (খুলনা আর বরিশাল বিভাগ মিলে দক্ষিণাঞ্চল দল) থেকে বেশি ক্রিকেটার সুযোগ পাবে। সেটিই স্বাভাবিক। খুলনা চ্যাম্পিয়ন দল, ওদের পারফরমারও বেশি। আর আমার ধারণা ছিল, বরিশাল থেকে একজন সুযোগ পেলেও সোহাগ গাজী পাবে। দারুণ ফর্মে আছে। জাতীয় লিগ-জাতীয় দল, সবখানেই পারফর্ম করেছে।বরিশাল থেকে চারজন নেওয়া হলো, কিন্তু আমি নেই…আসলে যেটা বললাম, আমার মাথায় কিছু ঢুকছে না। কোনোভাবেই হিসাব মেলাতে পারছি না।
জাতীয় লিগে ছয় ম্যাচে মাত্র একটা ফিফটি করে সালমান হোসেন ও সাত ম্যাচে দুটি ফিফটি করে ফজলে রাব্বী সুযোগ পেয়েছেন বরিশাল থেকে…l
শাহরিয়ার: যারা সুযোগ পেয়েছে, ওদের নিয়ে আমার কোনো প্রশ্ন নেই, ওদের শুভকামনা জানাই।আমি নিজের প্রশ্নের উত্তর খুঁজছি। কিছুই বুঝতে পারছি না।
এখন তবে কী ভাবছেন?l
শাহরিয়ার: কী আর ভাবব? অনুশীলন করছি নিজের মতো করে। ফিট রাখার চেষ্টা করছি নিজেকে।সামনে বিপিএল আছে। বিপিএলে ভালো খেলার চেষ্টা করব। এই তো!
নিউজরুম