আর্ন্তজাতিক ডেস্ক (২৫ ডিসেম্বর): মিসরে খসড়া সংবিধানের ওপর গণভোটে ব্যাপক জালিয়াতি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। তারা আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটের ফলাফল প্রকাশের আগে অনিয়ম তদন্তের জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
বিরোধী জোট ন্যাশনাল স্যালভেশন ফ্রন্টের (এনএসএফ) মুখপাত্র আমর হামজা অভিযোগ করেন, ভোটকেন্দ্রগুলো দেরিতে খোলা হয়েছে। খসড়া সংবিধানের পক্ষে ভোট দিতে ভোটারদের প্রভাবিত করেছে ইসলামপন্থীরা। ভোটের ফল ঘোষণার আগে অনিয়ম তদন্ত করতে তিনি নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, অনেক বিচারক গণভোট বর্জন করায় নির্বাচনে তেমন পর্যবেক্ষণ ছিল না।
আমর হামজা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘গণভোটই এ লড়াইয়ের শেষ নয়। এটা কেবল একটি যুদ্ধ। মিসরের জনগণের জন্য আমরা সংগ্রাম চালিয়ে যাব।’
এনএসএফের এ ঘোষণায় মিসরের চলমান রাজনৈতিক সংকট আরও ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা জেগেছে। এক মাস আগে মুরসির ক্ষমতা বাড়ানোর আদেশ জারি করার পর থেকে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়।
গতকাল সোমবার গণভোটের ফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করার কথা। তবে বেসরকারি প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যায়, গণভোটে খসড়া সংবিধানের পক্ষেই বেশি ভোট পড়েছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে, দুই দফার রায় মিলিয়ে প্রায় ৬৪ শতাংশ ‘হ্যাঁ’ ভোট পড়েছে; অর্থাৎ তারা খসড়া সংবিধানের পক্ষেই রায় দিয়েছে।
গণভোটে জালিয়াতির অভিযোগ ওঠায় জার্মানিও বিরোধীদের দাবির পক্ষে সায় দিয়েছে। তবে ইরান গণভোটকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, এটা মিসরের প্রগতি, ইসলাম ও বিপ্লবের লক্ষ্য পূরণ করবে।
রাজধানী কায়রো, দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেকজান্দ্রিয়া ও অন্য আটটি প্রদেশে ১৫ ডিসেম্বর প্রথম দফা গণভোট হয়। দ্বিতীয় দফায় অন্য ১৭টি প্রদেশে ভোট হয় গত শনিবার। সমালোচকেরা বলছেন, খসড়া সংবিধান অনুমোদিত হলে মিসরে গণবিক্ষোভ হবে। এমন সংবিধান মোবারকবিরোধী বিপ্লবের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল।
নিউজরুম