ব্যবসা ও অর্থনীতিডেস্ক(২৫ ডিসেম্বর):অবৈধ বহুস্তর বিপণন (এমএলএম) প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণকরার উপায় খুঁজে বের করতে এ সপ্তাহে পর্যালোচনা বৈঠকে বসছে ভারতেরকরপোরেটবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বিভিন্ন বিনিয়োগ কর্মসূচির মাধ্যমে জনগণের কাছথেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করে প্রতারণার কয়েকটি ঘটনা ঘটায় বিষয়টিতেলাগাম টানতে চায় দেশটির সরকার। খবর ইকোনমিক টাইমস-এর।
করপোরেট মন্ত্রীশচীন পাইলট বলেছেন, ‘কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এমএলএম পদ্ধতির ব্যবসার অপব্যবহারকরছে এবং বিষয়টি নিয়ে আমি বেশ চিন্তিত। এসব প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করতে চলতিসপ্তাহেই আমরা বৈঠকে বসব। প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো অনিয়ম করছে কি না, তা-ওখতিয়ে দেখা হবে।’
দেশটির সরকার ৮৭টি এমএলএম প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেপ্রতারণামূলক এমএমএল স্কিম চালানোর অভিযোগ পেয়েছে। এর মধ্যে ভবিষ্যতে বড়ধরনের প্রতারণা হতে পারে সন্দেহে সাতটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত করাহচ্ছে।
শচীন পাইলট বলেন, ‘এমএলএম ব্যবসায় দেশ এখন কোন অবস্থায় আছে, কতদূর যেতে পারে, সেসব বিষয় পর্যালোচনা করতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসব।জনগণের কাছে আমাদের কিছু দায়বদ্ধতাও আছে। এ জন্য অবৈধ এমএলএম ব্যবসা নিয়েসতর্ক পদক্ষেপ নিতে হবে, কারণ এটা এখন বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
এমএলএমেরঅবৈধ কার্যক্রম রোধে নতুন আইন করার প্রয়োজন নেই মন্তব্য করে শচীন পাইলটজানান, এমএলএমের নাম ভাঙিয়ে কেউ যাতে প্রতারণা করতে না পারে, সে জন্যসুনির্দিষ্ট নিয়ন্ত্রণমূলক কৌশল থাকা জরুরি। তবে, যাঁরা এসব স্কিমে বিনিয়োগকরছেন, তাঁদের এ বিষয়ে সচেতন করা আরও বেশি জরুরি, যাতে তাঁরাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মিথ্যা বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট না হন।
অনেক এমএলএম প্রতিষ্ঠানপশ্চিমবঙ্গ ও তামিলনাড়ুতে অবস্থিত। ভারতের গুরুতর প্রতারণা তদন্ত কার্যালয়(এসএফআইও) বর্তমানে সিঙ্গাপুরে নিবন্ধিত এমএলএম প্রতিষ্ঠান স্পিক-এশিয়ারবিরুদ্ধে ওঠা একটি প্রতারণার অভিযোগের তদন্ত করছে।
মূলত ক্ষুদ্রবিনিয়োগকারীরাই এ ধরনের প্রতারণার বড় ভুক্তভোগী। তাঁদের বলা হয়, অল্প সময়েরমধ্যে তাঁদের বিনিয়োগের কয়েক গুণ ফেরত দেওয়া হবে। শচীন পাইলট বলেন, ‘এইলোকগুলোই মাত্র কয়েক হাজার রুপি আয় করে আর এমএলএম প্রতিষ্ঠানগুলোর ফাঁদেপড়ে।’
বেশির ভাগ এমএলএম প্রতিষ্ঠান যেখানে নিবন্ধিত নয়, সেখানেক্ষুদ্রঋণ কর্তৃপক্ষ (মাইক্রো-ক্রেডিট অথরিটি—এমসিএ) কীভাবে তাদের শনাক্তকরতে পারবে—এমন প্রশ্নের জবাবে করপোরেট মন্ত্রী বলেন, যেহেতু সেখানে অর্থজড়িত, তাই এসব প্রতিষ্ঠানকে শনাক্ত করা কঠিন নয়। তা ছাড়া ব্যাংকিংচ্যানেলের মাধ্যমেও এদের শনাক্ত করা যাবে।
সরকার এখন বিনিয়োগকারী শিক্ষাও সুরক্ষা তহবিলের (আইইপিএফ) মাধ্যমে জনগণকে, বিশেষ করে ক্ষুদ্রবিনিয়োগকারীদের এমএলএম প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানানোর কাজচালিয়ে যাচ্ছে বলেও মন্ত্রী জানান।
নিউজরুম