স্পোর্টস ডেস্ক(২৫ ডিসেম্বর): পূর্ণাঙ্গ সিরিজ নয়। নেই কোনো টেস্ট ম্যাচ। দুটি টি-টোয়েন্টি আর তিনটি ওয়ানডের ছোট্ট সিরিজ। তাতেই কী উত্তেজনা, উত্তাপ, আগ্রহ!
বিস্ময়করঅবশ্য নয়। প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের নাম যখন ভারত ও পাকিস্তান, খেলাটাবিশ্বের যে প্রান্তেই হোক না কেন, উত্তেজনার পারদ সব সময় উঁচুতেই থাকে।সেখানে এই সিরিজ তো হচ্ছে ক্রিকেট জনপ্রিয়তার তীর্থস্থান ভারতে। শুধু কিএই, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হচ্ছে ৫ বছর পর!
দামামাতাই বাজছে বেশ কিছুদিন ধরেই। সিরিজ-পূর্ব আলোচনাতেও যথারীতি আছেন শচীনটেন্ডুলকার। তবে এবার অন্যভাবে। টেন্ডুলকার সব সময় আলোচনায় থাকেন সিরিজেরসম্ভাব্য ভাগ্যনিয়ন্তা হিসেবে। এবার আলোচনায় ওয়ানডে ক্রিকেট ছেড়ে।ভারত-পাকিস্তান সিরিজ শুরুর আগে আলোচনায় অন্য কিছু, এই অবিশ্বাস্য ঘটনাওতাই এবার দেখা গেল। টেন্ডুলকারের অবসর বলে কথা! তবে মনোযোগ আজই হয়তো ফিরবেমাঠের ক্রিকেটে। বেঙ্গালুরুর টি-টোয়েন্টি দিয়ে শুরু হয়ে যাচ্ছে সিরিজ।ভারত-পাকিস্তান মাঠের লড়াই মানে সব সময়ই ‘যুদ্ধ’, দৃষ্টি তখন অন্যকিছুতেফেরানো প্রায় অসম্ভব।
মাঠের লড়াইয়ে ঝাঁজ এখনো আছে, তবে মাঠের বাইরেরবারুদ সেভাবে জ্বলে না আগের মতো। কথার লড়াই এখন বিরল, টেন্ডুলকারের অবসরেরকারণে এবার তো আরও নেই। দেশ ছাড়ার আগে অবশ্য মোহাম্মদ হাফিজ খানিকটামনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ের রসদ জুগিয়েছিলেন, ‘ভালো মানের পেস বোলিংয়ে ভারত সবসময়ই দুর্বল। একসময় আমাদের পেসাররা যেমন ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিংলাইনআপকেও গুঁড়িয়ে দিত, আমি চাইব এবার আমার পেসাররাও তেমন কিছু করুক।’
হাফিজেরকথা যে স্রেফ হুমকি নয়, পরিকল্পনাও; সেটার প্রমাণ পাকিস্তানের স্কোয়াডেই।ভারতের মাটিতে সিরিজ, তার পরও স্কোয়াডে ৫ জন পেসার! আজমল-আফ্রিদি-হাফিজদেরনিয়ে গড়া স্পিন আক্রমণ দুর্দান্তই। ইতিহাসের ধারা মেনে এই সিরিজও আসলেপাকিস্তানের বোলিং আর ভারতের ব্যাটিংয়ের লড়াই।
সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সবিবেচনায় নিলে অবশ্য পরিষ্কার ফেবারিট ভারত। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে গততিন বছরে হারেনি ভারত। এই সময়ে জিতেছে টানা চার ম্যাচ—২০১০ এশিয়া কাপ, ২০১১বিশ্বকাপ, এ বছর এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আর খেলাটা যখনটি-টোয়েন্টি, পাকিস্তানের জন্য একরকম ‘মিশন ইমপসিবল।’ দুই দলের তিনটি-টোয়েন্টির তিনটিই জিতেছে ভারত, এর মধ্যে একটিতে জিতেছে টাই হওয়ার পর ‘বোল আউটে’।
তবে হাফিজ যেমন বলেছেন, সবচেয়ে সত্যি কথা সেটাই। এই দুইদলের লড়াইয়ে ফেবারিট বলে কিছু নেই। তেমনি এটাও সত্যি, না থেকেও এই সিরিজেথাকবেন শচীন টেন্ডুলকার। ঘুরেফিরে আসবেন নানা প্রসঙ্গে, নানা আলোচনায়।
নিউজরুম