স্পোর্টস ডেস্ক (২৪ ডিসেম্বর):ভারতের সাবেক অধিনায়ক সুনিল গাভাস্কার বলেছেন, ধারাবাহিক সমালোচনা হয়তোবা শচিন টেন্ডুলকারকে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে এবং একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৫০ সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পরই এমন সিদ্ধান্ত নিলে আরো চমৎকার হতো। বেশ কিছুদিন যাবতই টেন্ডুলকার রান খড়ায় ভুগতে থাকায় তিনি আরো কতদিন খেলবেন বিতর্কটা আরো জোরেসোরে শুরু হয়। সবশেষে রোববারই তিনি জানিয়ে দেন আর খেলবেন না ওয়ানডে ক্রিকেট।
গাভাস্কার বলেন, আমি মনে করি সত্যিকারার্থেই তিনি ভারতীয় ক্রিকেটের প্রতি যত্নশীল ছিলেন। হতে পারে সে হয়তোবা বুঝছেন, শুনেছেন এবং হৃদয় থেকে অনুভব করছেন এখন বিদায় নেয়া দরকার।তবে আমার মনে হয় সে তার শরীর সম্পর্কে ভাল জানে।
তিনি বলেন,সে ৪৯টা ওয়ানডে সেঞ্চুরি করেছে। আমি তার ৫০ সেঞ্চুরি দেখতে পেলে খুশি হতাম। সেটা হতো অতি চমৎকার।ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে বিদায় নিলেও টেন্ডুলকারের অন্তত ২০০ টেস্ট খেলার সুযোগ রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে গাভাস্কার বলেন, বিষয়টাকে সেভাবে দেখা উচিত হবে না। আমরা অনেক সামনের দিকে নজর দিচ্ছি। সে যদি আগামী চার টেস্ট খেলে তবে তার ১৯৮ টেস্ট খেলা হবে এবং তার পরের দুটি টেস্ট হবে আগামী বছর শেষ দিকে।প্রায় এক বছর তাকে আরো অপেক্ষা করতে হবে। গাভাস্কার বলেন, টেন্ডুলকার ইতোমধ্যেই ওয়ানডে থেকে সরে দাঁড়ানোর পর থেকে জনগণ হয়তোবা তার অনুপস্থিতিটাকে কাজে লাগাতে চাইবে কিন্তু এখনো তাকে হারানোটা অনেক বড় ক্ষতি।
গাভাস্কার বলেন, আমি মনে করি জনগণ, দল, অধিনায়ক এবং নির্বাচকরা ওয়ানডে ক্রিকেটে টেন্ডুলকারকে না দেখে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। তবে প্রকৃত সত্য হচ্ছে সে না থাকাটা অনেক বড় ক্ষতি। ব্যাটসম্যান টেন্ডুলকার না কি ফিল্ডার টেন্ডুলকার কোনটা তাকে অবসরের ডাক দিয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে গাভাস্কার বলেন,ক্রিকেটার টেন্ডুলকার।
আনুষ্ঠানিকভাবে হয়তোবা রোববার সে অবসর ঘোষণা করেছে তবে হতে পারে মানসিকভাবে সে এশিয়া কাপের পর মার্চেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। গাভাস্কারের দৃষ্টিতে শারজায় অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ঝড়ো ইনিংসটি টেন্ডুলকারের সেরা ইনিংস।
গাভাস্কার বলেন, শারজায় সমীকরণটা ছিল এমন ফাইনালে উঠতে হলে ভারতকে শুধুমাত্র জিতলেই হতো না। নির্দিষ্ট ওভারে নির্দিষ্ট রান করতে হতো। সে অবস্থায় সেটা করাটা ছিল সত্যিকারার্থেই বিশাল চাপ।
১৯৯৮ সালের এপ্রিলে সে ম্যাচে ১৩১ বল মোকাবেলায় নয়টি চার এবং পাঁচটি ছক্কা মেরে টেন্ডুলকার ১৪৩ রান করেন।বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের পরে জীবনে সব অর্জনই টেন্ডুলকারের হয়েছে বলে মনে করেন গাভাস্কার।
তিনি বলেন, বিশ্বকাপ জয় করাটা সব সময়ই আনন্দের। সেখানে অনেক ব্যক্তিগত অর্জনও থাকতে পারে। তবে এটা সম্পূর্ণ আলাদা অনুভূতি।
আমার খেলোয়াড়ী জীবনেও সবচেয়ে স্মরণীয় ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জয়। সে জয়ে আমি খুব বেশি অবদান রাখতে পারিনি কিন্তু মনে হয়েছে আমরা বিশ্বের সেরা। তবে টেন্ডুলকার অবদান রাখতে পেরেছে এটা অবশ্যই তার কাছে অনেক বড় কিছু।
নিউজরুম