শিক্ষা (২৩ ডিসেম্বর) সরকারি নীতিমালার তোয়াক্কা না করে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চলছে বকশীগঞ্জেকোচিং বাণিজ্য।সরকারিভাবে কোচিং বাণিজ্য বন্ধের জন্য শাস্তির বিধাননীতিমালা গ্রহণ করা হলেও উৎসাহের যোগাচ্ছেন বলে এলাকাবাসি জানিয়েছেন।জানাগেছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কতিপয় অসৎ কর্মকর্তার যোগসাজশে ওইসব অবৈধ কোচিং সেন্টারের ইতোমধ্যে বিনামূল্যে বই বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলাসদরের ওই সব গজিয়ে উঠা অবৈধ কোচিং সেন্টারে বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় চটকধরাবিজ্ঞাপন দিয়ে
১০০% পাশসহ এ+ প্রাপ্তির নিশ্চয়তা দিয়ে বছরেরশুরুতেই মাইকিং ও পোষ্টারিং করে ছাত্র/ছাত্রী ভর্তির আহ্বান করা হচ্ছে।প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সমমানের শিক্ষা ব্যবস্থার চিত্র আরও ভয়াবহ। মাইকিং, পোষ্টারিং ও বড় বড় ব্যানারে ভরে গেছে সারা শহর। দেয়া হচ্ছে স্থানীয়ক্যাবলটিভিতে মনকাড়া বিজ্ঞাপন। প্রতিটি শিক্ষার্থীর পিছনে ছুটছেনপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থেকে অনেকেইশিক্ষক তালিকায় নাম না দিয়ে দের্দাসে চালিয়ে আসছেন কোচিং বাণিজ্যে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক জানান, আবার অনেকেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তেমন সময় না দিলেওঅধিকাংশ সময় ব্যয় করে থাকেন কোচিং সেন্টারে। ওই সব নাম সর্বস কোচিংসেন্টারগুলোতে নানান ধরনের সুযোগ সুবিধার আশ্বাস দেওয়াতে বিপাকে পড়েছেনসুনাম ধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষাকর্মকর্তা সানোয়ার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, উপ পরিচালকেরনির্দেশক্রমে এসব কোচিং সেন্টারের বই সরবরাহ করা হয়েছে।
তবে এ বিষয়েউপ পরিচালকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা খানম এর সাথে যোগাযোগ করা হলেতিনি জানান, কোচিং সেন্টার সমূহে বই সরবরাহ করা হলে এর সাথে জড়িতদেরবিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা করা হবে।