ঢাকা (২৩ ডিসেম্বর) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেছেন, ‘পদ্মা সেতুর দুর্নীতিতে সৈয়দ আবুল হোসেন ও আবুল হাসানের নাম এসেছে। কিন্তু সুনির্দিষ্ট প্রমাণ না পাওয়ায় তাঁদের আসামি করা হয়নি। প্রমাণ পাওয়া গেলে সাত আসামির সঙ্গে তাঁদেরও বিচার হবে। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।’
হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আজ রোববার গোলাম রহমান জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ গ্রহণবিষয়ক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
দুদকের চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতি কখনো তামাদি হয় না। তবে দুর্নীতি যখন ঘটে, তা প্রমাণ হয় এর অনেক পরে। বিচারব্যবস্থার দুর্বলতা ও দীর্ঘসূত্রতার জন্য বিচার অনেক সময় বিলম্বিত হয়। কিন্তু রেহাই পাওয়া সম্ভব হয় না। তিনি বলেন, দুর্নীতি বেড়ে গেলে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। মাত্রাতিরিক্ত দুর্নীতির কারণে জীবনমানের উন্নয়নে ব্যাঘাত ঘটে। তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ালে দুর্নীতি কমবে। আর দুর্নীতি কমলে জাতীয় আয় ও কর্মসংস্থান বাড়বে। ফলে চাকরিজীবীদের বেতনও বাড়বে। শাস্তি দিয়ে দুর্নীতি বন্ধ করা যাবে না। দুর্নীতি প্রতিরোধে সম্মিলিত প্রয়াস দরকার।
দুদকের চেয়ারম্যান বলেন, হল-মার্ক, ডেসটিনি, টেলিফোন ও পাওয়ার সেক্টরের দুর্নীতি নিয়ে দুদক সফলভাবে কাজ করেছে। অন্যান্য বিষয়েও কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হলেই দুর্নীতি হয়। তাই সরবরাহ বাড়াতে হবে। যেমন—মোবাইল ফোনের বিস্তৃতিতে বিটিসিএলের দুর্নীতি কমেছে। তিনি বলেন, রাজনীতিবিদেরা যদি দুর্নীতি করেন, তাহলে প্রথমেই জনতার আদালতে এবং পরে জাগতিক ও আখেরাতের আদালতে তাঁদের বিচারের সম্মুখীন হতে হবে।
মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক মনীন্দ্র কিশোর মজুমদার সভাপতিত্ব করেন।
বাসস।