ঢাকা (২৩ ডিসেম্বর) চলমান ৩৩তম বিসিএস পরীক্ষার সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন হলে গতকাল শনিবার সকালেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের কথা ওঠে। রাতের মধ্যে বিজ্ঞান বিষয়ের প্রশ্ন পরীক্ষার্থীদের হাতে হাতে পৌঁছে যায়। উত্তরসহ চার সেটের ওই প্রশ্নের এক কপি ‘প্রথম আলো’র কাছে পৌঁছেছে।
এদিকে, আজ রোববার বেলা দুইটা থেকে এ বিষয়ের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়। প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠার পরও পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে পিএসসির চেয়ারম্যান এ টি আহমেদুল কবির প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের সঙ্গে যে সেটে পরীক্ষা হচ্ছে তার কোনো মিল নেই। দুই-একটি প্রশ্ন যেকোনো সাজেশন থেকেই পড়তে পারে। বাস্তবে যে সেটে আমরা পরীক্ষা নিচ্ছি, এর সঙ্গে ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের কোনো মিল নেই।’
চার হাজার ২০৬টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ৩৩তম বিসিএসের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। গত ১ জুন প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পৌনে দুই লাখের বেশি পরীক্ষার্থী এতে অংশ নেন। গত ২৮ জুন প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়।
৭ অক্টোবর থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৬ অক্টোবর রাতে আকস্মিকভাবে পরীক্ষা স্থগিত করে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। ১৮ ডিসেম্বর থেকে আবারও লিখিত পরীক্ষা নেওয়া শুরু হয়। প্রথম দিন ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র, ১৯ ডিসেম্বর গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা এবং আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, ২০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিষয়াবলি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকাল ১০টায় পরীক্ষার্থীরা বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষায় অংশ নেন।
নিউজরুম