ঢাকা (২২ডিসেম্ব) : বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও থাইল্যান্ডের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার প্রথম বৈঠকটি এ যাত্রায় আর হলো না।
শুক্রবার বিকেল সোয়া পাঁচটায় ইংলাক ঢাকা পৌঁছান এবং এরপর থেকেই নির্ধারিত সূচি মেনে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এরমধ্যে বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য কোনো সময় নির্ধারিত নেই। শনিবার বিকেল চারটায় তিনি ঢাকা ছাড়ছেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মবিন চৌধুরী এবং প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল বাংলানিউজকে জানান, জোরালো সম্ভাবনা ছিল, কিন্তু খালেদা-ইংলাকের মধ্যে সাক্ষাতটি হলো না।
শমসের মবিন বাংলানিউজকে বলেন, ‘‘ইংলাকের পক্ষ থেকে সাক্ষাতের বিষয়ে সেভাবে কিছু জানানো হয়নি। তিনি আসার পর আমরাও তাই আগ বাড়িয়ে কোনো উদ্যোগ নেইনি।”
তবে দু’জনের সাক্ষাৎ হলে কোন কোন প্রসঙ্গে আলোচনা হলে দেশ লাভবান হবে, তা নিয়ে খসড়া প্রস্তুতি ছিলো বলেও জানান শমসের মবিন চৌধুরী।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান বাংলানিউজকে বলেন, ‘‘তার (ইংলাক) পক্ষ থেকে সাক্ষাতের বিষয়ে কোনো পেপারস আসেনি, আমরাও আর যোগাযোগ করিনি।”
অবশ্য বিএনপি সূত্র জানায়, ইংলাক এলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক হবে বলেই দলের পক্ষ থেকে আশা ও চেষ্টাও করা হয়েছিল। সংশ্লিষ্টরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
কিন্তু থাই প্রধানমন্ত্রী কম সময় নিয়ে এসেছেন। তার কার্যসূচিও ধারাবাহিকভাবে গোছানো। আর ইংলাকের পক্ষ থেকে প্রস্তাব না আসায় বিএনপির পক্ষ থেকে এগোনোর সুযোগ নষ্ট হয়ে যায়। এক পর্যায়ে তাই না এগোনোর সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়।
সূত্রমতে, জনস্বার্থ, নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন ইস্যুতে দু’দেশের পারস্পরিক সহায়তার অবস্থা তৈরি করতে চেয়েছিলেন খালেদা জিয়াও।
আর বিশেষ করে জনশক্তি রপ্তানিসহ প্রবাসীদের কল্যাণে ইংলাকের মনোযোগ আহ্বান করতে চেয়েছিলেন সংসদের বর্তমান বিরোধী দলীয় নেতা।
শুধু তাই নয়, এ বৈঠকটি হলে থাইল্যান্ডের সঙ্গে বিএনপির কূটনৈতিক সম্পর্কও আরো জোরদার হতো বলে দলটির সংশ্লিষ্ট মহল আশা করছিলো।
নিউ