সেন্টমার্টিন (২২ ডিসেম্বর) : প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে শুক্রবার দিনগত রাত তিনটায় মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা হয় ১২০০ জন। এর আগে টেকনাফের বিভিন্ন ঘাট থেকে কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে সেন্টমার্টিনের উপকূলে থাকা বার্মিজ কাঠের জাহাজে উঠেন তারা।
রাতে টেকনাফের খুড়েরমুখ ঘাট থেকে ৬০ জন, মুন্ডারিল থেকে ৪৫ জন ও জয়নালের ঘাট থেকে ৫৫ জনসহ প্রায় ২৫০ জন মাছধরার ছোট ট্রলারে করে ছোট ছোট উপদলে ভাগ হয়ে সেন্টমার্টিন উপকূলে অপেক্ষারত জাহাজে ওঠে।
এছাড়া আরো ৬০০ জন আসেন চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়া, মিরসরাই, শিকলবাহাসহ বিভিন্ন ঘাট থেকে। এরপর রাত ৩টার দিকে মালয়েশিয়ার পথে গভীর সাগরে দুইদিন ধরে অপেক্ষামাণ বাকি ৪০০ জনকে নিয়ে রওনা হয় জাহাজটি।
সেন্টমার্টিনের জাহাজ থেকে আব্দুর রহমান নামের এক দালাল জানান, স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতা করেই লোক পাঠানো হয়েছে। এ কাজে বরাবরের মতো সহায়তা করেছেন জাহিদ নামের টেকনাফের এক সংবাদকর্মী।
অন্য এক দালাল জানান, যত জন লোক যাওয়ার কথা ছিল শেষ পর্যন্ত যোগাড় হয়েছে তারও বেশি। তাই টেকনাফের এমপি সাহেবের আত্মীয় ও তার ভাগিনা নিপুর চাচাতো ভাই আকতার কামাল ও শাহেদ কামালের (পিতা নাজির আহমেদ) বাড়িতে বেশিরভাগ লোকের থাকার ব্যবস্থা করতে হয়।
নিউজরুম