সাভার স্মৃতিসৌধ (১৬ ডিসেম্বর) : ১৬ ডিসেম্বর রোববার মহান বিজয় দিবসে সাভার স্মৃতিসৌধে প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলের নেত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে উভয় দলের হাজারও নেতাকর্মীর সমাবেশ ঘটেছে।
এদিকে, সাভার এলাকায় হাজার হাজার আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মী বাঁশের লাঠি হাতে স্মৃতিসৌধের আশেপাশে অবস্থান নিয়েছেন। এতে করে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
স্মৃতিসৌধে উপস্থিত সাধারণ মানুষরা অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে স্থানীয় সংসদ সদস্য মুরাদ জংয়ের কর্মীরা ভোর থেকে স্মৃতিসৌধের মূলগেটসহ আশপাশ এলাকা দখল করে রাখেন। তারা ব্যানার ফেস্টুন ও লাঠি হাতে শো-ডাউন করতে থাকেন।
সকাল সাড়ে ৬টায় প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়ে চলে যাওয়ার পরও তারা তাদের অবস্থান ধরে রেখেছেন।
অন্যদিকে, সকাল ৭টা ২৫ মিনিটে বিরোধী দলীয় নেতা এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া স্মৃতিসৌধে আসেন। এ সময় নেত্রীকে দেখতে পেয়ে আগে থেকে দাঁড়িয়ে থাকা নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হয়ে ওঠেন।
স্থানীয় বিএনপি নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন বাবু, সাভার পৌর মেয়র রেফাতুল্লাহ, কাউন্সিলর খোরশেদ ও মেজর (অব.) মিজানুর রহমানের পৃথক গ্রুপ খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানান।
প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলের নেত্রী চলে যাওয়ার পর পরই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা লাঠি হাতে শো-ডাউন করতে থাকেন।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা স্মৃতিসৌধের গেট, জয় রেস্তোরাঁ, পেট্রোল পাম্পসহ আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেন।
অন্যদিকে, বিএনপির সালাউদ্দিন, রেফাতুল্লা এবং খোরশেদ, মিজান গ্রুপের নেতাকর্মীরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগর বাসস্ট্যান্ড, ক্যান্ট. পাবলিক স্কুল, গোকুলনগর বিশমাইল এলাকায় অবস্থান নেন।
এসময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীরা নানা ধরনের উস্কানিমূলক স্লোগান দিতে থাকেন।
স্থানীয় লোকজন আশঙ্কা, যে কোনো মুহূর্তে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে। এর আগেও এমনটাই ঘটেছে।
তবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, তারা পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি ভালো এবং নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
নিউজরুম