ঢাকা: (১৪ ডিসেম্বর) : গত ৯ ডিসেম্বর বিএনপির নেতৃত্বাধীন সারাদেশে ১৮ দলের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে ঢাকায় বিশ্বজিৎ দাসের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের দায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর এড়াতে পারেন না বলে দাবি করেছেন বিশ্বজিতের চাচাতো বড় ভাই নবীন দাস।
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় হিন্দু মহাজোট আয়োজিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে নবীন দাস এসব কথা বলেন।
আর এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করেছেন জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব অ্যাডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক তিনি।
নবীন দাস বলেন, “অসহায় রাজনীতির শিকার হলো আমার ভাই। দেশে পুলিশ র্যাব থাকতেও মাঠ দখলের নামে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খুনিদের রাস্তায় নামিয়ে বিশ্বজিৎকে নৃশংসভাবে হত্যা করলেন।”
তিনি আরও বলেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ হত্যাকাণ্ডের দায় এড়াতে পারেননা। তাই তার পদত্যাগ করা উচিত।”
সমাবেশে নবীন বলেন, “কোনো বিবেকবান মানুষ এই ঘটনায় চুপ করে থাকতে পারেননা। অথচ সরকারের দায়িত্বশীল পদে থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খুনিদের গ্রেফতারের ব্যবস্থা না নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে মন্তব্য করছেন। হত্যাকাণ্ডের দায় এড়ানোর চেষ্টা করছেন।”
তিনি বলেন, “আমার ভাই বারবার চিৎকার করে বলেছে ‘আমি হিন্দু’, জামায়াত-শিবির নই। তারপরও তাদের মনে দয়া হয়নি। তিন দফা কুপিয়েছে তাকে। রিক্সাচালক হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসকের পা ধরেছেন তার চিকিৎসার জন্য, কিন্তু চিকিৎসা হয়নি।”
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেওয়া বিশ্বজিতের বোন বিউটি বণিক তার ভাইয়ের হত্যার বিচার চেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। সমাবেশে আর কোনো কথা বলতে পারেননি তিনি।
নবীন দাস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, “দিনে-দুপুরে পুলিশের সামনে খুনিরা আমার ভাইকে হত্যা করেছে। পত্র-পত্রিকা ও মিডিয়ায় স্পষ্ট ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। অথচ অজ্ঞাতনামা আসামি দেখিয়ে মামলা করা হয়েছে।”
বিশ্বজিত হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন জানানো হয়েছে বলে সমাবেশে উল্লেখ করেন তিনি।
হিন্দু মহাজোটের সভাপতি রিপন দে’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে হিন্দু মহাজোটের উপদেষ্টা চিত্রা পাল, মহাসচিব অ্যাডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিকসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে মহাসচিব অ্যাডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে বলেন, “পদত্যাগ না করলে বিশ্বজিতের মূল খুনিরা গ্রেফতার হবে না।”
নিউজরুম