ঢাকা (১৪ ডিসেম্বর) : বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া।
শুক্রবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে তিনি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, নজরুল ইসলাম খান ও ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
ভোরে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর স্মৃতিসৌধ রাজনৈতিক দল ও সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা পরিকল্পিতভাবে দেশের কৃতী সন্তানদের হত্যা করে। তার পর থেকে দিনটি শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
পরাজয় জেনে হানাদার বাহিনী এবং তাদের এদেশীয় দোসররা জাতিকে মেধাশূন্য করতে দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। হানাদার বাহিনী শহীদুল্লা কায়সার, ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব, অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, অধ্যাপক জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, সন্তোষচন্দ্র ভট্টাচার্য, ড. মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, অধ্যাপক মুনীরুজ্জামান, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা, অধ্যাপক গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, ডা. ফজলে রাব্বি, ডা. আলীম চৌধুরী, ডা. গোলাম মোর্তজা, সিরাজুদ্দীন হোসেন, নিজামুদ্দীন আহমেদ, খন্দকার আবু তালেব, আ ন ম গোলাম মোস্তফা, আলতাফ মাহমুদ, নূতনচন্দ্র সিংহ, আর পি সাহা, আবুল খায়ের, রশীদুল হাসান, সিরাজুল হক খান, ড. মুক্তাদির, ফজলুল মাহি, ড. সাদেক, ড. আমিনুদ্দীন, সায়ীদুল হাসান, সেলিনা পারভীনসহ আরও অনেককে হত্যা করে।
নিউজরুম