ঢাকা (১৪ ডিসেম্বর) : মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মন্ত্রীপরিষদের সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে শেখ হাসিনা এবং তার পর মন্ত্রিপরিষদবর্গ শহীদদের প্রতি পুস্পস্তবক অপর্ণ করেন।
পরে স্মৃতিসৌধ সাধারণ জনগণের জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়া হয়।এসময় পুরো স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল নামে।
এ যেনো এক অন্যরকম দৃশ্য। সবাই স্মরণ করছিলেন সেসব শহীদ বুদ্ধিজীবীদের যাদের পাক হানাদারবাহিনী এ দেশের দোসরদের নিয়ে হত্যা করেছিল।
শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাংসদ রাশেদ খান মেনন, বিকল্পধারার বদরুদ্দোজা চৌধুরী, গণফোরামের ড. কামাল হোসেন, জাতীয়পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষজন ও সামাজিক-রাজনৈতিক নানা সংগঠন। ।
১৯৭১ সালের ১০ ডিসম্বর থেকে ১৪ তারিখ পর্যন্ত সে তালিকা ধরে বৃদ্ধিজীবী হত্যার ঘৃণ্যতম অপকর্মটি করতে পাকিস্তানি খান সেনাদের সহায়তা করে রাজাকার বাহিনী। সান্ধ্য আইনের মধ্যে রাতের আঁধারে তালিকাভুক্ত বুদ্ধিজীবীদের বাসা থেকে চোখ বেঁধে রায়েরবাজার এবং মিরপুর বধ্যভূমিতে নিয়ে গুলি করে ও বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বিজয় অর্জনের পর স্বাধীন বাংলাদেশে রায়েরবাজার, মিরপুরসহ কয়েক জায়গায় পাওয়া যায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের ক্ষতবিক্ষত বিকৃত লাশ।
একাত্তরের ডিসেম্বরে হত্যাযজ্ঞের শিকার শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রকৃত সংখ্যা এখনও নিরূপণ করা হয়নি। প্রাপ্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বাংলা পিডিয়ায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের যে সংখ্যা দাঁড় করানো হয়েছে, সে অনুযায়ী, একাত্তরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে ছিলেন ৯৯১ শিক্ষাবিদ, ১৩ জন সাংবাদিক, ৪৯ চিকিৎসক, ৪২ আইনজীবী এবং ১৬ জন শিল্পী-সাহিত্যিক ও প্রকৌশলী।
এঁদের মধ্যে রয়েছেন- ড. জি সি দেব, অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, অধ্যাপক জ্যেতির্ময় গুহঠাকুরতা, সন্তোষ চন্দ্র ভট্টাচার্য. ড. মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, অধ্যাপক মুনীরুজ্জামান, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা, অধ্যাপক গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, ডা. ফজলে রাব্বী, ডা. আলীম চৌধুরী, ড. গোলাম মোর্তজা, ড. মোহাম্মদ শফি, শহীদুল্লাহ কায়সার, সিরাজউদ্দিন হোসেন, নিজামুদ্দিন আহমেদ লাডু ভাই, খন্দকার আবু তালেব, আ ন ম গোলাম মোস্তফা, শহীদ সাবের, নাজমুল হক, আলতাফ মাহমুদ, নূতনচন্দ্র সিংহ, আর পি সাহা, আবুল খায়ের, রশীদুল হাসান, সিরাজুল হক খান, আবুল বাশার, ড. মুক্তাদির, ফজলুল মাহি, ড. সাদেক, ড. আমিনুদ্দিন, সায়ীদুল হাসান, হাবিবুর রহমান, মেহেরুন্নেসা, সেলিনা পাএ উপলক্ষে রায়েরবাজার বধ্যভূমি ও মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী গোরস্তান এলাকায় নেওয়া হয়েছে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দেশব্যাপী বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নিয়েছে নানা কর্মসূচি। রভীনসহ আরও অনেকে।
এ উপলক্ষে রায়েরবাজার বধ্যভূমি ও মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী গোরস্তান এলাকায় নেওয়া হয়েছে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দেশব্যাপী বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নিয়েছে নানা কর্মসূচি।
নিউজরুম