সেনাবাহিনীকে অত্যাধুনিক ট্যাংক ও কামান হস্তান্তর করলেন প্রধানমন্ত্রী

0
350
Print Friendly, PDF & Email

ঢাকা (১৩ ডিসেম্বর) : প্রজন্মের মেইন ব্যাটেল ট্যাংক ২০০০ (এমবিটি-২০০০) এবং ওয়েপন লোকেটিং রাডার এসএলসি-২ অন্তর্ভূক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্টিলারি (গোলন্দাজ) শক্তি নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করলো।  প্রধানমন্ত্রী গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তেজগাঁওয়ে আর্মি এভিয়েশন গ্র�প চত্বরে এক অনুষ্ঠানে এমবিটি-২০০০ ও এসএলসি-২ রাডার অন্তর্ভুক্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেন। সেনাবাহিনীতে আধুনিক ট্যাংক ও রাডার অন্তর্ভুক্তিকে এক মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিসেম্বর মাস হচ্ছে এ ধরনের অন্তর্ভক্তির সর্বোত্তম সময়। কারণ এটি বিজয়ের মাস। এই মাসে আমরা জীবনমরণ যুদ্ধের মাধ্যমে দখলদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের থাবা থেকে দেশকে মুক্ত করেছি। এই যুদ্ধে সেনাবাহিনীর বীর যোদ্ধারা সম্মুখ ভাগে ছিল।

 সেনাবাহিনীর সিনিয়র আর্টিলারী বেঙ্গল ক্যাভালরি�র কাছে ট্যাংক হস্তান্তর করে শেখ হাসিনা বলেন, এসব অস্ত্র আমাদের আর্টিলারির সক্ষমতা ও সমর শক্তি বাড়াবে। তিন বাহিনীর প্রধান, প্রিন্সিপাল স্টাফ কর্মকর্তা (পিএসও) এবং ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীনের পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে আর্টিলারী কোর প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি সে সময় মিসর সরকারের দেয়া ৩০টি টি-৫৪ ট্যাংক আর্টিলারীকে প্রদান করেন।

 তিনি বলেন, আরো টি-৫৯ ট্যাংক আপগ্রেডের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ব্রিটেন থেকে নতুন সাউন্ড রেঞ্জিং ইক্যুইপমেন্ট কিনে আর্টিলারী কোরে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যা শক্র পক্ষের কামান, রকেট ও দূরপাল্লার অস্ত্র নির্ভুলভাবে সনাক্তে আর্টিলারী কোরের সক্ষমতা বাড়াবে।

সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকীকরণে তাঁর সরকারের প্রয়াসের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর তিন বাহিনীতে আধুনিক অস্ত্র অন্তর্ভুক্তির উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে ন্যাশনাল ডিফ্রে কলেজ (এনডিসি), আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ, মিলিটারী ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইন্সটিটিউট অব প্রফেশনালস ও পিস কিপিং ইন্সস্টিটিউটের পাশাপাশি অনেক বিগ্রেড ও ব্যাটেলিয়ন প্রতিষ্ঠা করা হয়।

নিউজরুম

শেয়ার করুন